মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের চিঠি। সেই চিঠিতে ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়াকে স্মরণীয় করতে প্রাক্তন উপাচার্যের লাগানো ফলক পাল্টে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন ফলকে কী লেখা হবে তা ঠিক করতে কর্তৃপক্ষকে কমিটি গড়ার নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। শিক্ষামন্ত্রকের চিঠি পাওয়ার পরেই চার জন অধ্যাপককে নিয়ে কমিটি গড়েছে বিশ্বভারতী। কেন্দ্রের নির্দেশ পেয়েই ইতিমধ্যে অমল পাল, শকুন্তলা মিশ্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় সহ ৪ জন অধ্যাপকের কমিটি গঠন করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন: পাশের সেলেই পার্থ, শোনা মাত্রই যা করলেন জ্যোতিপ্রিয়! মাথায় হাত সকলের! জেলে জব্বর ঘটনা
গত সেপ্টেম্বরে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফলক বসান তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই ফলকে আচার্য ও উপাচার্যের নাম থাকলেও ছিল না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। উপাচার্যের এই পদক্ষেপে গর্জে ওঠেন সব স্তরের মানুষ।
তীব্র আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ফলক পাল্টানোর দাবি তোলেন তিনি। ফলক পাল্টানোর দাবি নিয়ে, কবিগুরুর ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেন তিনি। সেই মতো বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধর্না, বিক্ষোভ শুরু হয়। তৃণমূলের পাশাপাশি, বাম এবং কংগ্রেসও প্রতিবাদে সরব হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি লিখে তীব্র আক্রমণ শানান বিদ্যুৎও। এর কিছুদিনের মধ্যেই উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। এরপরই কেন্দ্রের তরফে এল নতুন নির্দেশ।
সূত্রের খবর, নতুন ফলকে লেখার জন্য একটি ছোটখাটো অনুচ্ছেদও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ইংরাজি অনুচ্ছেদটিকে বাংলা এবং হিন্দিতে অনুবাদ করা হবে বলে খবর। ইংরাজি, বাংলা এবং হিন্দি, এই তিন ভাষাতেই ওই অনুচ্ছেদ বিশ্বভারতীর নতুন ফলকে লেখা থাকবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। তেমন ভাবেই নতুন ফলক প্রস্তুত করার নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।