বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে যদি আপনি কোথাও যাত্রা সফর করেন, তবে আপনার ট্রেনের টিকিটের মূল্যের সঙ্গেই খাবারের দাম ধরা থাকবে। এবং আপনি আপনার সময় মতো আপনার চেয়ারে বসেই খাবার পেয়ে যাবেন।আপনি যদি হাওড়া থেকে শিলিগুড়ি ভ্রমণ করেন, তবে আপনাকে ট্রেনে সকালের ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে। আপনি যদি শিলিগুড়ি থেকে হাওড়া আসেন তবে ট্রেনে আপনাকে চা-জলখাবার এবং রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: কুয়াশায় বর্ষবরণ, বছরের প্রথম দিনেই বাড়ল তাপমাত্রা! আবহাওয়ার বড় আপডেট
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ১৬টি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার কোচ রয়েছে। যেখানে আবার দুই ধরনের বসার বিভাগ আছে। প্লেনের মতো অনেকটা। একটি হল ইকোনমি এবং আরেকটি এক্সিকিউটিভ ক্লাস। তবে আশ্চর্যজনক বৈশিষ্ট হল এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ঘূর্ণায়মান চেয়ার রয়েছে যা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে। মানে আপনি আপনার ইচ্ছামতো আপনার বসার চেয়ার যেদিকে খুশি ঘুরিয়ে নিতে পারবেন কোনও অসুবিধা নেই। এছাড়াও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল স্লাইডিং ফুটস্টেপ-সহ অটোমেটিক দরজা অনেকটা মেট্রো ট্রেনের মতোই বর্তমান সময়ের শতাব্দী এক্সপ্রেসের চেয়ে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেশি গতিতে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন।
আরও পড়ুন: সাবধান, সাধুবেশে ঝুলি থেকে গায়ে সাপ ছুড়ে দিয়ে টাকা লুঠ কলকাতায়! বর্ষশেষে মারাত্মক কাণ্ড
বর্তমানে শতাব্দী এক্সপ্রেস ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় যাত্রা সফর করে, কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় চলতে পারবে। তবে হাওড়া থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে এই ট্রেন চলবে ৭২ থেকে ৯০ কিমি প্রতি ঘন্টায়। কিন্তু বর্তমানে ইন্ডিয়ান রেলওয়ের বেশিরভাগ ট্রাকগুলি ১৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে চালানোর উপযুক্ত নয়, বা তৈরি নয়।বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ব্যবহারকারীদের ইনফোটেইনমেন্টের ( ইনফরমেশন এবং এন্টারটেইনমেন্ট) জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করার জন্য অনবোর্ড ওয়াই-ফাই অ্যাক্সেস সরবরাহ করে। এছাড়াও, মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেটে যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটের একটি বড় সমস্যা রয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা প্রায়ই সেই সব সমস্যার সম্মুখীন হয়।
তাই ট্রেনে স্যানিটেশনের সমস্যা সমাধানের জন্য বন্দে ভারতে বায়ো-ভ্যাকুয়াম টয়লেট এর ব্যবস্থা করা হয়েছে, সঙ্গে ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য দুই ধরনেরই ব্যবস্থা আছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে জিপিএস ভিত্তিক উন্নত যাত্রী তথ্য ব্যবস্থাও রয়েছে যা আপনাকে আসন্ন স্টেশন এবং তথ্য সম্পর্কে সব সময় আপডেট করবে।বন্দে ভারত ট্রেনের সবকটি বগিতেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে, যাতে যাত্রীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া যায়। এর সঙ্গে থাকছে ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় দরজা যা তখনই খুলবে যখন ট্রেনটি পুরোপুরি থামবে। এবং যখন দরজা পুরোপুরি বন্ধ হবে তখনই ট্রেনটি চলতে। পারবে এমন ভাবেই টেকনোলজি তৈরি করা হয়েছে।বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের কিছু কোচে হুইলচেয়ার পার্ক করার জন্য জায়গা থাকবে, যাতে প্রতিবন্ধীদের কোনও ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়।