অনুষ্ঠানে নিজের ভাষনে অরণ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন বীরবাহা হাঁসদা। তিনি বলেন, ‘‘জুলাই এলেই গাছ লাগানোর প্রবণতা বাড়ে। অনেকে শুধুমাত্র ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য গাছ লাগান। কিন্তু পরে ওই গাছটা বাঁচল কি না, সেটা আর দেখেন না। আমরা গাছ লাগাব, কিন্তু গাছ বাঁচবে না—তা হয় না। গাছটা যাতে বাঁচে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।’’
advertisement
পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শুধু সরকারের পক্ষে পরিবেশ বাঁচানো সম্ভব নয়। দফতরের তরফ থেকে সহযোগিতা করা হয়, কিন্তু সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’’
আরও পড়ুন: ইন্দিরা গান্ধিকে ছাপিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদি! একটানা ৪০৭৮ দিন…গড়লেন রেকর্ড
বন দফতর সম্পর্কে জনমানসে তৈরি হওয়া নানা ধারণা নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘‘জঙ্গলে কিছু করলেই অভিযোগ ওঠে বন দফতরের দিকে। নগরায়ন বা শিল্পায়নের জন্য যখন গাছ কাটা হয়, তখন অনেকেই পরিবেশ রক্ষার কথা বলেন, কিন্তু গাছ লাগানোর দায়িত্বটা নিতে চান না।’’ রাজ্যের জঙ্গল বাড়ছে বলেও দাবি করেন বীরবাহা। বলেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গে ২২.৮ শতাংশ জঙ্গল বৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণ করেছি। মানুষের মধ্যে বৃক্ষরোপণ নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। এখন সবাই বুঝতে পারছেন, গাছ ছাড়া উপায় নেই।’’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে দেখা গিয়েছিল একাধিক জনপ্রতিনিধি গাছ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি সেই ভাবে।