বুধবার দুপুরে দার্জিলিঙের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ডিভিসির প্রসঙ্গও তুলতে শোনা গিয়েছে মমতাকে। মমতার প্রশ্ন, ‘ ড্যাম রেখেছে কেন? গ্রীষ্মকালে যে সব জায়গায় জল নেই সেখানে জল দেবে বলে। আর আমরা সেই সময় জল চাইলে পাইনা। এমন ড্যাম রেখে লাভ কী? ভেঙে দাও। কোথাও ওরা ড্রেজিং করে না। নদীকে নদীর মতো বইতে দাও জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে দিয়ে আমি দার্জিলিং, কালিম্পং নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছি। কালিম্পংয়ে সারাক্ষণ ধস নামে। ওটা সিকিমের সঙ্গে সংযুক্ত। ওখানে সেনার প্রচুর বেস আছে। সেনা ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বলব রাস্তা নিয়ে আপনারা কাজ করে সংষ্কার করুন। পুরসভাকে বলব রাস্তায় প্যাচ ওয়ার্ক করুন। এখানে প্রচুর পর্যটক আসেন। সেচ দফতর যেন পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা না বলে কোনও প্রকল্প যেন হাতে না নেয়। ওরা ঠিক করে কাজ করতে পারছে না। সব মন্ত্রীরা এক লক্ষ টাকা করে দিচ্ছেন ডিজাস্টার ফান্ডে, আমি ৫ লক্ষ টাকা দেব।’
advertisement
মমতা জানান, ৯৬টি প্রাইমারি স্কুল নষ্ট হয়েছে। একাধিক কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাঁরা ফিরে আসছেন, তাঁরা যেন কর্মশ্রীতে কাজ পান। বেঙ্গালুরুতে সাত জন মারা গিয়েছেন। ওদের পরিবারকে দেখতে হবে। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির জন্য বুধবার আরও একবার ভুটানকে দায়ী করেন মমতা। আগেও মমতা বলেছিলেন, ভুটানের জলেই এত বড় দুর্যোগ হয়েছে উত্তরবঙ্গে। তাই ভুটানের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত বাংলাকে।