বিকাশ রঞ্জন জানান, তিনি বাড়ি চলে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু, সেখান থেকেই খবর পান তাঁর জুনিয়ররা চেম্বার থেকে বেরতে পারছেন না৷ এরপরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘সব শুনে আমি ছুটে এসেছি৷ এখন আমি আমার জুনিয়রদের মুক্ত করে নিয়ে যাচ্ছি৷ এর পর এদের কী অবস্থা হয় আইন অনুযায়ী আমি সেটা করব৷ এর মাধ্যমে প্রমাণিত হল পশ্চিমবঙ্গে সভ্যতা ভদ্রতা বলে কিছু নেই৷’’
advertisement
উচ্চ প্রাথমিকে অতিরিক্ত শূন্যপদে (সুপার নিউমেরিক) নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের লিখিত তথ্য তলব করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর জেরে গত শুক্রবার সন্ধেবেলা মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জনের চেম্বার ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কর্মশিক্ষা এবং শারীর শিক্ষার কিছু শিক্ষক।
আরও পড়ুন: কেন মামলা, হাইকোর্টে বিকাশের চেম্বার ঘেরাও শিক্ষকদের! ছোড়া হল বোতল, তুলকালাম
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য চেম্বারের বাইরে ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রিটে বিক্ষোভ হয় আগে। পরে কিরণ শঙ্কর রায় রোডে ফিরদৌস শামীম, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দোপাধ্যায়দের চেম্বারের বাইরের রাস্তায় বিক্ষোভ হয়।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম বন্দোপাধ্যায়, ফিরদৌস শামিম ছবি হাতে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ পাওয়া ওই শিক্ষকরা। এই বিক্ষোভের জেরে বিকেল থেকে হাই কোর্ট চত্বরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, “বিকাশবাবুর মতো আইনজীবীদের একাংশ কথায় কথায় আদালতে মামলা করে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি খেতে উঠে পড়ে লেগেছেন।” এরই প্রতিবাদ জানাতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য তাঁর জুনিয়র আইনজীবীদের চেম্বার থেকে নিয়ে যাবার সময় বোতল বৃষ্টি শুরু হয় তাঁদের উদ্দেশ্যে। আন্দোলনকারীরা বোতল বৃষ্টি করতে থাকেন, পুলিশরাও বোতলবৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাননি। এরপরই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বোতল ছোড়া আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন আইনজীবীরা। স্ট্রান্ড রোডের উপর শুরু হয় মারামারি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও পুলিশ এসেছে। একজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।