পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই অঞ্চলটি ডিসপেনসারি এলাকা নামেও পরিচিত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এমনকী পাশের তিলজলা থানার পুলিশ আধিকারিকরাও পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ৯/১ তিলজলা শিবতলা লেনে প্রায় ৫ কাঠা জমির উপর একটি টালির চালের বাড়ি রয়েছে। ভাড়াটিয়া-সহ বাড়িওয়ালা ছায়া দাস, রেনুকা দাস ও তাঁদের পরিবার পরিজন থাকেন ওই বাড়িতে। তাঁদের অভিযোগ, বাড়িটির দখল নিয়ে সেখানে প্রোমোটিং করতে চায় হাফিজ, হায়দার সহ ওই এলাকারই কয়েকজন বাসিন্দা। একইভাবে শেখ খুরশিত নামে অপর এক ব্যক্তিও প্রোমোটিংয়ের জন্য ওই বাড়িটির দখল নিতে চান। ইতিমধ্যে বাড়ির বাইরের দিকে একটি ঘরে নিজের অফিসও খুলে ফেলেছেন খুরশিত।
advertisement
শুক্রবার রাতে দলবল নিয়ে শেখ খুরশিতের অফিসেই এসে হাজির হয় হাফিজ-হায়দাররা। সঙ্গে ছিল বিকাশ, প্রদীপ, রকি নামে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাও। রাতেই শেখ খুরশিতের অফিসে ভাঙচুর চালায় তারা। ভাঙচুর চলাকালীন পর পর ৭ রাউন্ড গুলিও ছোড়ে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বাড়ির পাশেই একটি দলীয় কার্যালয় ছিল, তাতেও ভাঙচুর চালায় তারা।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কড়েয়া থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
আরও পড়ুন-শিক্ষিকার ব্রেন ডেথ শহরে, লিভার-কিডনি দানে বাঁচছে আরও প্রাণ