TRENDING:

সারাদিন হর্নের আওয়াজে কান ঝালাপালা, কানের আরাম ভুলতে বসেছে কলকাতা

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতার রাস্তায় গাড়ি চালানো মানে যত্রযত্র হর্নের প্রয়োগ। হঙ্কিংয়ে রেকর্ড ভাঙছে শব্দদূষণ। প্রতিদিন। নীরবে নয়, সরবে। বিরক্ত লাগছে তো? সকাল হোক বা বিকেল। ধর্মতলা, রাসবিহারি থেকে উল্টোডাঙা। এমনকী মা ফ্লাইওভারেও। হর্নের আওয়াজে কান ঝালাপালা... একইরকম।
advertisement

সকাল ১১: ধর্মতলা

সিগনাল খুলতেই নিয়ম মেনে এগোচ্ছে গাড়ি। তাহলে অহেতুক হর্ন কেন?

দুপুর ১: রাসবিহারি

ট্রাফিক সামলাতে ব্যস্ত পুলিশ। গাড়িও এগোচ্ছে নির্বিবাদে। তবে আওয়াজের খামতি নেই।

বিকেল ৪: মা ফ্লাইওভার

নিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক। গাড়িও কম। তবু হর্ন দিয়ে কোন বার্তা দিতে চাইছেন চালক?

বিকেল ৫: উল্টোডাঙা

advertisement

অটো, বাস, মালবাহী গাড়ি, বাইক। সম্মিলিত ডেসিবেলে কর্ণকুহর কাতর।

কী হয়েছে কলকাতার? কেন দিনভর এই শব্দদূষণ? বদভ্যাস? অজ্ঞতা? না অন্য কোন কারণ?

মনস্তত্ত্ববিদ বিদিতা ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, সবার এখন তাড়া৷ সেই সঙ্গেই অতিরিক্ত স্ট্রেস, চাপের কারণে ধৈর্য হারিয়ে ফেলছি আমরা৷ অন্যদিকে, আইন বলছে স্থান দিন রাত মেনে রয়েছে ডেসিবেলের হিসেব৷

শিল্পাঞ্চলে সকাল ৬ টা থেকে রাত দশটার মধ্যে আওয়াজ থাকতে হবে ৭৫ ডেসিবেলের মধ্যে। রাত ১০টার পর সর্বোচ্চ সীমা ৭০ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে সর্বোচ্চ সীমা ৬৫ ডেসিবেল, রাতে ৫৫। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় দিনে ৫৫ আর রাতে ৪৫। আর স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, আদালত বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মত সাইলেন্স জোনের ১০০ মিটারের মধ্যে শব্দমাত্রা দিনে ৫০ এবং রাতে ৪০ ডেসিবেল।

advertisement

কিন্তু বাইক বা গাড়ির ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন ভাঙলে যেভাবে ধরপাকড় হয়। শব্দদূষণের ক্ষেত্রে ততটা কড়া পদক্ষেপ হয় কি? শরীর হোক বা মন, দুইয়ের অসুখই বাড়ছে শহরে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিরক্তি, অমনোযোগ। কানের আরাম... ভুলতে বসেছে কলকাতা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
সারাদিন হর্নের আওয়াজে কান ঝালাপালা, কানের আরাম ভুলতে বসেছে কলকাতা