রাত প্রায় আড়াইটে থেকে বিসর্জনের জন্য অপেক্ষারত এক বারোয়ারি প্রতিমাকে বিসর্জন করতে দেওয়া হয়নি কারণ তখন ভরা জোয়ার ছিল। মালবাজারের ঘটনার জেরে সেই সময়ে ফের নিরঞ্জনের ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। ভোরে জল কমতেই বিসর্জন সহায়ক কলকাতা পুরসভার কর্মীরা প্রতিমা নিয়ে জলের কাছে যেতেই দেখতে পান, ঘাটের কাছে অনেকগুলি কাঠামোর মাঝে আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ আটকে রয়েছে। বিসর্জনের জন্য ঘাটেই অস্থায়ী পুলিস ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের তৎক্ষণাৎ বিষয়টি জানানো হয়। ঘাট কর্মীদের সাহায্য নিয়েই দেহের পায়ে দড়ি বেঁধে, দেহটিকে তুলে ঘাটের মাঝামাঝি রেখে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় ওয়েস্ট পোর্ট থানায়।
advertisement
আরও পড়ুন: দশমীর রাতে ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনা শিয়ালদহে, মৃত ৩ পথচারী! রাজপথে রক্তগঙ্গা
প্রায় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে পৌনে নটা পর্যন্ত ওভাবেই পড়ে থাকে অজ্ঞাত পরিচয় দেহটি। স্বভাবতই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন ঘাটে বিসর্জন পর্বে আসা সাধারণ মানুষ। দেহটি পচতে শুরু করায়, দুর্গন্ধে ভরে যায় ঘাট। সাত সকালে ঘাটে নতুন করে প্রতিমা নিয়ে এসে এই দৃশ্য থেকে শিউরে ওঠেন অনেকেই। দেহ থেকে দূরে সরে যান তারা।
পরে ওয়েস্ট পোর্ট থানার পুলিশ এসে দেহটি প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা করে। তারপর কর্পস ডিসপোজাল ভ্যান এনে কালো পলিথিন চাদরে দেহ ঢেকে রাখে। প্প্রে বডি জ্যাকেট পরিয়ে ভ্যানে তুলে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পশ্চিম বন্দর থানায়।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ, আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার
প্রসঙ্গত সকাল ৯ টা পর্যন্ত মোট ৪৪৫ টি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছে। কোভিডের বিধিনিষেধ কিছুটা লাঘব হলেও গঙ্গা দূষণ এড়াতে কড়াকড়ি রয়েছে ঘাটে। প্রতিমা জলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাঠামোকে ক্রেন দিয়ে তুলে ফেলা হচ্ছে। ডাম্পার করে কাঠামো সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে কলকাতা পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।