মধ্যবিত্তদের কপালে ভাঁজ পড়েছে আবারও। বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে জিএসটি চালু হয়েছে। চাল, ডাল, মুড়িতে আগে কোনও জিএসটি ছিল না। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিলের নয়া নির্দেশিকায় মুড়িতে পর্যন্ত বসছে জিএসটি। তারই প্রতিবাদ জানালেন দলনেত্রী৷ "মুড়িতে জিএসটি, মিষ্টিতে জিএসটি, দইতে জিএসটি, লস্যিতে জিএসটি, নকুলদানাতে জিএসটি, বাতাসাতে জিএসটি, বিজেপি মুড়ি খায় না? লোকে কী খাবে? খাব কী আমরা? মানুষ খাবে কী? আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নইলে বিজেপি বিদায় নাও..." দলনেত্রীর ভাষণে কেঁপে উঠল তিলোত্তমা!
advertisement
আরও পড়ুন: ২০২৩ পঞ্চায়েত-২০২৪ লোকসভা, একুশের মঞ্চে তৃণমূলের লক্ষ্য জানালেন সৌগত রায়!
আরও পড়ুন: হাতে ওয়াকিটকি, উড়ছে ড্রোন, একুশে জুলাইতে ডাকাবুকো আরাবুলকে চেনা দায়!
উন্মাদনা শুরু হয়েছে বুধবার থেকেই৷ আগের দিন রাতেই অনেক মানুষ এসে পৌঁছেছেন ধর্মতলায়৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রাম, শহর, শহরতলি সব জায়গার চিত্র যেন একই৷ সর্বত্র কেবল ধর্মতলা যাওয়ার হিড়িক৷ কিন্তু বেলা গড়াতেই মুষলধারে বৃষ্টি৷ তবে কী বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াল একুশের সমাবেশে? না৷ বরং নজিরবিহীন একুশের সাক্ষী থাকল একুশের কলকাতা, মা-মাটি-মানুষের কাছে হার মানল বৃষ্টি৷
আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিলই৷ বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা ঘোষণা করেছিল হাওয়া অফিস৷ কিন্তু দলনেত্রীর ভাষণ শোনার সুযোগ ছাড়েননি কেউ৷ তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর, এই প্রথম ধর্মতলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ৷ কার্যত স্তব্ধ বেশ কিছু রাস্তাঘাট। শিয়ালদহ হোক বা হাওড়া৷ শিয়ালদহ স্টেশনে মা-মাটি-মানুষের পতাকা-ফেস্টুন হাতে, স্লোগান মুখে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছচ্ছেন তাঁরা। সকলেরই মনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার অদম্য ইচ্ছা৷ একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে প্রবল আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার যেন আরও প্রখর, আরও জোরালো৷