এই যুবকের হাতেই গত ১৬ অগাস্ট মধ্যরাতে ছিল জাগুয়ারের স্টিয়ারিং। নাম রাঘিব পারভেজ।
বুধবার দুপুর সোয়া দু’টো। বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার সানা নার্সিংহোমের সামনে থেকে রাঘিব পারভেজকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কী ভাবে, জাগুয়ার তদন্তের জাল গোটালেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ? কলকাতা পুলিশের অপরাধদমন শাখার যুগ্ম কমিশনার মুরলীধর শর্মার দাবি, দামি গাড়ির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সহজ করল মূল অভিযুক্তের গ্রেফতারির রাস্তা।
advertisement
শুক্রবার ১৬ অগাস্ট গভীর রাতে দুর্ঘটনার পরদিন, শনিবার আরসালান পারভেজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু সন্দেহ শুরু সেখান থেকেই।
দামি গাড়ির ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ব্যাগ খুলে যায়। সেই এয়ারব্যাগ যাত্রীকে যেমন বাঁচায়, তেমনই যাত্রীর শরীরে দাগ তৈরি করে। যাকে সিলিকন বাইট বলে।
আরসালানের শরীরে-মুখে সেই আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। এমনকী, সিসিটিভি ফুটেজে গাড়ির চালক হিসেবে আরসালান ছিলেন কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ হয়। পারভেজ পরিবারের সিসিটিভি থেকেও পুলিশের সন্দেহ বাড়ে।
আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির জাগুয়ারের এমন মডেলের ইডিআর থেকেও মারাত্মক তথ্য পাওয়া যায়।
ইনফোটেইনমেন্ট ও টেলিমেডিক্স ডেটা উদ্ধার হয়। এই তথ্য থেকে বোঝা যায় কে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়ি চালাতে হলে মোবাইল ফোন থেকে লগ ইন করতে হয়। সেই মোবাইল নম্বরটি ছিল রাঘিব পারভেজের। আরও তথ্যপ্রমাণ যোগাড় করতে রাতে পুলিশ যায় ৩৭ সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউতে, পারভেজ পরিবারের বাড়িতে। দুর্ঘটনার দিন রাঘিবের পড়া পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আরও কিছু নথি।