এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম,বাণী কুমার নামে আলিপুর কোর্টের এক টাইপ রাইটারের সঙ্গে।তাঁর দাবি,'যে সমস্ত কোম্পানি টাইপ রাইটিং মেশিন বানাত,তারা বানানো বন্ধ করে দিয়েছে।যার ফলে এই মেশিন খারাপ হলে অনেক কষ্টে পুরনো যন্ত্রাংশ জোগাড় করে মিস্ত্রি লাগিয়ে ঠিক করতে হয়।তবে এই ভাবে বেশিদিন চলবে না।' আদালত চত্বরে কিছু টাইপ রাইটার আছেন,যাঁরা অন্যত্র কম্পিউটার বসিয়ে তাঁদের টাইপিং ব্যবসা করছেন।বেশ কিছু রয়েছেন, যাঁরা কাজ ছেড়ে দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : ঘোষিত এ বছরের পদ্মসম্মান, তালিকায় ওআরএস-এর পথপ্রদর্শক প্রয়াত চিকিৎসক দিলীপ মহালানবীশ-সহ একাধিক কৃতী বাঙালি
এখন যাঁরা আছেন,তাঁদের বক্তব্য ,তাঁরা একটি ছোট্ট টেবিলের ওপর টাইপ মেশিন বসিয়ে কাজ করে।ওখানে কম্পিউটার রাখার মতো জায়গা নেই।অন্যত্র জায়গা নিলে,অনেক টাকা লাগবে।সেই মূলধন নেই।আবার রোজগারের মতো করে কম্পিউটার শিখতে গেলে,কয়েক মাস সময় লাগবে। একে তো স্বল্প রোজগারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ,তিন মাস রোজগার বন্ধ হয়ে গেলে, খাবেন কী?
আরও পড়ুন : প্রচারের আলো থেকে আলোকবর্ষ দূরে থেকেই জীবন কেটেছে ওআরএস পথপ্রদর্শকের
যন্ত্রের লাফ দিয়ে পরিবর্তনের ফলে,কয়েক হাজার টাইপ রাইটার জীর্ণ দশায় পৌঁছেছে।আইনজীবী রেজাউল হক খানের বক্তব্য,'হঠাৎ করে কিছু টাইপ করতে গেলে,ম্যানুয়াল টাইপ রাইটার ঠিক আছে।এছাড়া কম্পিউটার টাইপ,কিংবা প্রিন্ট খুব স্বচ্ছ হয়।পরিষ্কার হয়।যা সংশোধন করানো যায়।যায় ফলে বেশির ভাগ মানুষ কম্পিউটার প্রিন্ট পছন্দ করছে।' তবে পুরনো ছন্দ মিলিয়ে টাইপ মেশিনের সুর ম্লান হচ্ছে,আদালত,অফিস গুলোতে।রুগ্ন হচ্ছে এই পেশা।