রাজেশ এবং রাজীব দু' জনেই একই বাড়িতে থাকেন৷ জো়ডাসাঁকো এলাকার ১৩, পাঁচু ধোবানি গলির ঠিকানাতেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দু' জনে৷ গা লাগোয়া দুই ওয়ার্ড থেকে দুই ভাই তৃণমূল- বিজেপি-র হয়ে লড়াই করলেও দু' জনের সম্পর্কে তাঁর কোনও প্রভাব পড়েনি৷ পরিবার নিয়ে রাজেশ এবং রাজীব একসঙ্গেই থাকেন, দু' জনের ব্যবসাও একসঙ্গেই৷
advertisement
আরও পড়ুন: দু' তিন মাসের মধ্যেই সব পুরসভায় ভোট, কর্ণজোড়ার বৈঠকে ফের দাবি মমতার
বড় ভাই রাজেশের মতো ছোট ভাই রাজীবেরও দাবি, বাড়িতে রাজনীতি ঢুকতে দেন না তাঁরা৷ সেটাই নাকি সুসম্পর্ক বজায় রাখার রসায়ন৷ রাজীবের কথায়, 'আমাদের সম্পর্কে রাজনীতির কোনও প্রভাব পড়েনি৷ আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল৷ দুই ভাই একসঙ্গেই থাকি৷ ব্যবসাও একসঙ্গে৷'
ছোট ভাই রাজেশের কথায়, 'রাজনীতিতে এটাই দুর্ভাগ্য যে কেউ অন্য দল করলেই লোক মুখ ঘুরিয়ে নেয়৷ সেটা হওয়া উচিত নয়৷ দল আলাদা, বাড়ি আলাদা৷ নির্বাচন, রাজনীতি নিয়ে কোনও দিনই আমাদের বাড়িতে কোনও আলোচনা হয় না৷'
আরও পড়ুন: কলকাতায় চাই সবুজ-ঝড়, দুদিনেই 'গুরুদায়িত্ব' সামলাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজেশ এবং রাজীবন সিনহার বাবা অনয় গোপাল সিং একসময় জগদ্দলের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন৷ তাঁদের জ্যাঠা আবার সমাজবাদী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ রাজেশ এবং রাজীবও বাবার মতোই একসময় কংগ্রেস করতেন৷ পরে দল পরিবর্তন করে তৃণমূল এবং বিজেপি-তে যোগদান করেন তাঁরা৷
রাজনৈতিক দল আলাদা হওয়া সত্ত্বেও দু' জনের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়েনি৷ তবে প্রার্থী হওয়ার পর পরস্পরকে শুভেচ্ছাও জানাননি৷ ছোট ভাই রাজীব বলছেন, ভোটের ফল যাই হোক না কেন, দাদার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একই রকম থাকবে৷ আর দাদা রাজেশ কিছুটা হাল্কা মেজাজে বলছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে না থাকলে উন্নয়নে শামিল হওয়া সম্ভব নয়৷ তাই ভাই জিতুক বা হারুক, বলব তৃণমূলেই যোগ দিতে৷'