সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, যেখানে গোটা হলুদের পাইকারিদর ৯০/১১৫ টাকা প্রতি কেজি, গোটা লঙ্কা ১৭০/২১০ টাকা প্রতি কেজি, সেখানে হলুদগুঁড়ো কেজিপ্রতি ৬০/৭০টাকা, লঙ্কাগুঁড়ো ১০০/১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখানেই সন্দেহ হয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের। ১ সেপ্টেম্বর এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক যুগল কিশোর দাঁ পোস্তার নবাব লেনের, রঘুনাথ ট্রেডার্সের হলুদ গুঁড়ো এবং লঙ্কাগুঁড়োর নমুনা সংগ্রহ করেন।ওই দোকানে এই রকমই কম দামে মশলা বিক্রি হচ্ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন : বইমেলায় কি কমানো হবে স্টল সংখ্যা? গিল্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দিল নবান্ন...
সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য । নমুনা পরীক্ষা হয়ে আসার পর এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। হলুদের গুঁড়োয় চাল এবং শিল্পে ব্যবহৃত রং, লঙ্কাগুঁড়োতে ভুষির সঙ্গে শিল্পে ব্যবহৃত রং মেশানো রয়েছে।
আরও পড়ুন : বিধাননগর কাণ্ড থেকে শিক্ষা, দেশে এই প্রথম হট লাইন কিয়স্ক চালু হচ্ছে কলকাতায়
যুগলবাবুর দাবি, পরীক্ষায় যে রঙের নমুনা পাওয়া গিয়েছে, সেই রং মানুষের শরীরে গেলে ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে। যাকে বিষাক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ল্যাবরেটরির পরীক্ষায়। কলকাতা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর,পোস্তা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন : রাজ্যে শীতের আমেজ, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে ? জেনে নিন
সেই মামলায় গ্রেপ্তার করে রঘুনাথ ট্রেডার্সের মালিক রাজেশ শ’কে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর ভেজাল হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো। বুধবার রাজেশকে আদালতে তুলবে পুলিশ। অভিযোগ, কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে এই ভেজাল অসাধু চক্র চলছে। যেখান থেকে এরা প্রস্তুত করে নিয়ে আসছে। তাদের সন্ধানেও তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।