আরও পড়ুন-দুধের প্যাকেট নিয়ে তুমুল বিতর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায়, কী এমন লেখা আছে তাতে?
এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে আর্থিক ভাবে কলকাতা বন্দর কতটা উপকৃত হবে বা যানজট কতটা কমবে তা নিয়ে একটা সমীক্ষা হবে। একইসাথে তৈরি করা হবে ডিটেইলস প্রজেক্ট রিপোর্ট বা DPR। সূত্রের খবর, একটি আন্তর্জাতিক মানের সংস্থা এই DPR তৈরি করবে। বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, ‘‘বন্দর এলাকায় একাধিক জায়গা থেকে কন্টেনার আসে৷ রাস্তা দিয়ে কন্টেনার যাতায়াত করার জন্য ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। যানজট ঠেকাতে একাধিক ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। তবে কলকাতা ও হাওড়া শহর এবং পাশ্ববর্তী এলাকা যানজটমুক্ত করতে এই টানেল কার্যকরী হবে। তবে টানেল কোথায় হবে ও কোন দুটি অংশকে যুক্ত করবে তা সমীক্ষা ও DPR-এ উঠে আসবে।’’
advertisement
আরও পড়ুন-'সত্যিকারের প্রেম' খুঁজতে ৫০ বছর লেগে গেল এই কোটিপতির! অবশেষে চতুর্থবার বিয়ে করতে চলেছেন
এই ধরণের টানেল অবশ্য নতুন নয়৷ বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বন্দরের শেল্ড নদীর নীচে লিফকেনশোয়েক সুড়ঙ্গ আছে। এই সুড়ঙ্গ প্রায় ১.৩৭ কিমি লম্বা। এই সুড়ঙ্গ দুই লেনের। উচ্চতা এমনটাই করা আছে যেখানে ৫.১০ মিটার উচ্চতার কন্টেনার বা ট্রাক যাতায়াত করতে পারে। কলকাতায় সুড়ঙ্গ তৈরি হলেও এমনটাই করা হবে বলে আশাবাদী বন্দরের আধিকারিকরা। খিদিরপুর ডক ও নেতাজী সুভাষ ডক দিয়ে প্রতিদিন বহু ট্রাক ও কন্টেনার যাতায়াত করে। এর অধিকাংশ ট্রাক আসে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে। যার জেরে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, সাঁতরাগাছি এবং অন্যদিকে ডানলপ, বিমানবন্দর-সহ একটা বড় অংশে যানজট তৈরি হয়। বিভিন্ন সময়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হলেও, যানজট নিয়ন্ত্রিত হয়নি। মাঝে চিন্তা করা হয়েছিল রো-রো পরিষেবা চালু করা হবে। যদিও রো-রো করে ট্রেলার নিয়ে যেতে জেটি প্রয়োজন তা টেকনিকালি করা এখন সম্ভব হচ্ছে না। তাই আগামী দিনে ভরসা হতে চলেছে সুড়ঙ্গ।