নিজের অ্যাকাউন্টে নোট জমাতেও লাগবে জবাবদিহি
আবার কথা রাখলেন না নরেন্দ্র মোদী! ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার সময়ে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুরনো নোট ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া যাবে এবং ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৪০০০ টাকা অবধি পুরনো নোট পাল্টে নতুন নোট নেওয়া যাবে। পরে নোট বদলানোর ওই সীমা বাড়ানো হবে। সেই সব আশ্বাসে যাঁরা আস্থা রেখেছিলেন, তাঁরা আজ হাত কামড়াচ্ছেন।
advertisement
মোদীর রবিনহুড পোশাকে কালি ছেটাতে তৈরি রাহুল
ধনী, কালো টাকার কারবারিদের বিরুদ্ধে গরিব, সৎ মানুষের লড়াই। নোট-বাতিলকে এই লড়াইয়েরই চেহারা দিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই লড়াইয়ে তিনি অবশ্যই গরিবের পাশে, রবিনহুডের মতো। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে ভোট-যুদ্ধের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদীর সেই রবিনহুডের পোশাকেই কালি ছেটাতে নামলেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু জানিয়ে দিলেন, তিনি রাজনৈতিক ভাবে মোদীকে পরাস্ত করতে চান, ব্যক্তিগত আক্রমণে নয়। কংগ্রেসের সভা থেকে মোদীর বিরুদ্ধে ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান উঠেছিল। কিন্তু তাকে নাটকীয় ভাবে থামিয়ে দেন রাহুল। নোট বাতিল বিতর্কে মোদী যখন ইন্দিরা থেকে রাজীব গাঁধীকে টেনে আনছেন, তখন মোদীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চেয়েছেন রাহুল।
সব পদ ছেড়ে ‘বড় লড়াইয়ে’ সাইরাস
টাটা বনাম সাইরাস মিস্ত্রির আট সপ্তাহের বোর্ডরুম যুদ্ধে নতুন মোড়। গোষ্ঠীর ছ’টি সংস্থা ছাড়ার কথা সোমবার জানিয়ে দিলেন মিস্ত্রি। কিন্তু একই সঙ্গে বললেন, লড়াই থেকে সরছেন না তিনি। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে মিস্ত্রিকে সরানো হয় গত ২৪ অক্টোবর। ক্ষমতায় ফেরেন রতন টাটা। তবে গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার পর্ষদে বহাল ছিলেন মিস্ত্রি। কারণ বেশির ভাগ শেয়ারহোল্ডারের সায় ছাড়া পর্ষদ থেকে কাউকে সরানো যায় না। কাল থেকেই সেই সায় নিতে সংস্থাগুলিতে পরপর বিশেষ সাধারণ সভা বা ইজিএম ডাকে টাটারা। তার আগেই সরে দাঁড়ালেন মিস্ত্রি। তাঁর ঘোষণা, ‘‘ইজিএমের আওতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে বড় লড়াইয়ে নামতেই এই সিদ্ধান্ত। পথ বদলে এমন এক জায়গা থেকে বিরোধিতা করতে হবে, যেখানে আইনকে মান্যতা দেওয়া হয়।’’ কর্পোরেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তিনি আদালতের পথেই হাঁটবেন।
৫৬ ইঞ্চি ভুলে মোদী এখন রক্ষণাত্মক
তখনও প্রধানমন্ত্রী হননি। লোকসভা ভোটের প্রচারপর্বেই গোটা দেশ শুনেছিল ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কথা। ক্ষমতার আসার পরেও কত বার। পাক অধিকৃত জমিতে সেনার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বা পাঁচশো, হাজার টাকার নোট বাতিলের পরেও তাঁর ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কথাই বলেছেন দলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদেরা। কিন্তু নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে গত কয়েক সপ্তাহে একের পর এক ঘটনায় বেজায় চাপে নরেন্দ্র মোদী। এতটাই যে, গত আড়াই বছরের চেনা মেজাজ ভুলে হঠাৎই বেশ রক্ষণাত্মক তিনি। বিরোধীদের নিশানা করলেও সেই চড়া সুর যেন অনেকটাই উধাও।
পুরানো নোটে ৫ হাজারের বেশি ব্যাংকে জমা একবার
বাতিল নোট ব্যাংকে জমা দেওয়ার শেষদিন ৩০ ডিসেম্বর। কিন্তু এই প্রক্রিয়াকেও এবার কড়া নিয়ম ও নজরদারির বজ্র আঁটুনিতে বাঁধল কেন্দ্র। সোমবার রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) জানিয়ে দিল, ৩০ ডিসেম্বরের সময়সীমার মধ্যে কোনও অ্যাকাউন্টে ৫ হাজারের বেশি মূল্যে বাতিল নোট জমা পড়লে, সেই অ্যাকাউন্টে দ্বিতীয়বার আর টাকা জমা করা যাবে না। শুধু তাই নয়, এতদিন কেন এই বাতিল টাকা জমা দেওয়া যায়নি, তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যাও দিতে হবে ব্যাংক কর্তাদের সামনে। মুখোমুখি হতে হবে নানা প্রশ্নের। তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই কড়া বিধি-নিষেধ জারি হলেও বাতিল টাকা জমা করার এরকম কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকছে না প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায়। আরবিআইয়ের সঙ্গেই একথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতেও। কেন্দ্র আগেই ঘোষণা করেছিল, এই প্রকল্পে স্বেচ্ছায় কালো টাকা জমা করলে তার ৫০ শতাংশ কর বাবদ কেটে বাকি টাকা বৈধ করা যাবে। তবে সেই বাকি টাকার ২৫ শতাংশ সরকারের ঘরে বিনা সুদে রেখে দেওয়া হবে চার বছর।
আগে ছিলেন চাওয়ালা, এখন পেটিএম-ওয়ালা
নির্বাচনের আগে বলতেন চা-ওয়ালা। চা-ওয়ালা এখন পেটিএমওয়ালা, কোটিপতিওয়ালা হয়েছেন। আর সাধারণ গরিব মানুষ ফকির হয়ে গিয়েছে। কিছু বলতে গেলেই উনি বলছেন, আমি তো ফকির। আমার কিছুই নেই। কিন্তু, একটা ফকিরের কাছে কত টাকা থাকে, তা আপনারা মিলিয়ে নেবেন। ফকিরের সংজ্ঞা কী, তা আমি আর নতুন করে বলব না। বড় নোট বাতিল ইস্যুতে সোমবার বাঁকুড়ার রাইপুরে সরকারি সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম না করে এই ভাষাতেই আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ক্যাশলেস’ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগকেও এদিন মুখ্যমন্ত্রী তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন।
ব্যাংকের পর পিএফে সুদের হারও কমাল মোদি সরকার
প্রত্যাশা ছিল চলতি অর্থবর্ষেও ইপিএফে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে। যদিও সোমবার সেই প্রত্যাশায় জল ঢেলে ইপিএফও কর্তৃপক্ষ সুদের হার ৮.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.৬৫ শতাংশ করে দিল। বিগত অর্থবর্ষের তুলনায় যা ০.১৫ শতাংশ কম। পিপিএফ, কিষান বিকাশ পত্র, সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন সরকারি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার আগেই কমিয়েছিল সরকার। গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসাবে নোট বাতিলের ধাক্কায় নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমনকী পেনশনের টাকা তুলতে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে প্রবীণ নাগরিকদের পর্যন্ত। এবার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে হিসাবে সুদ কমানো হল ইপিএফ তহবিলেও। এদিন বেঙ্গালুরুতে বৈঠক ছিল ইপিএফও-র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণকারী সংস্থা সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (সিবিটি)। বৈঠকের পর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক সিং বলেন, সুদের হার কমিয়ে ৮.৬৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিটি। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে সুদের এই হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। ভারতীয় মজদুর সংঘের সাধারণ সম্পাদক বৃজেশ উপাধ্যায়ও বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ইপিএফে ৮.৬৫ শতাংশ সুদের হার স্থির করা হয়েছে।
পাঠানকোট হামলায় মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে চার্জশিট
পাঠানকোট হামলার মূল চক্রী ‘জয়েশ-ই-মহম্মদ’-এর নেতা মাসুদ আজহার। মোহালি আদালতে চার্জশিট জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ জানিয়ে দিল সেকথা। চার্জশিটে মাসুদের ভাই মুফতি রউফ আসগার, জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা শহিদ লতিফ এবং বায়ুসেনাঘাঁটিতে হামলাকারীদের হ্যান্ডলার কাশিফ জানের নামও রয়েছে। পাঠানকোট হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ মাসুদ আজহার, রউফ এবং লতিফের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি হয়েছে। কাশিফের বিরুদ্ধে আগেই রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হয়েছিল। এদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনে তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যক্রম প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে। তবে চার্জশিটে স্বীকার করা হয়েছে, পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গিহামলার পিছনে অবশ্যই রয়েছে নিরাপত্তায় গাফিলতি।
জনতাকে স্বস্তি দিতে বাড়তে পারে করছাড়
নোট বাতিলের ধাক্কায় জেরবার আমজনতাকে স্বস্তি দিতে করছাড়ের আয়ের সীমা বাড়াতে পারে কেন্দ্র ৷ সূত্রের খবর মধ্যবিত্তের হাতে অর্থের জোগান বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কী হবে নতুন কর ছাড়ের সীমা ?
চা-ওয়ালা মোদী কোটিপতি, তোপ মমতার
নোট বাতিলের ইস্যুতে নরেন্দ্র নোদীর বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ফকির চাওয়ালাবলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘মোদী আসলে একজন কোটিপতি ৷ বিপুল টাকার মালিক ৷ পেটিএমের মতো ই-ওয়ালেট সংস্থাগুলির কাছ থেকে কমিশন খেয়েই প্রধানমন্ত্রী এই হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷’
শিয়ালদহ সরগরম
হাতে সময় মাত্র আর এক বছর ৷ ২০১৮-র জানুয়ারিতে সল্টলেক থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু হয়ে যাওয়ার কথা৷ এখনই শিয়ালদহ হয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৬ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন ৷
বার্লিনে লরির তলায় পিষে মৃত্যু ১২ জনের, আহত ৫০
ফের যেন টাটকা হয়ে উঠল জুলাই মাসে বাস্তিল দিবসে ফ্রান্সের নিস শহরে ঘটা যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার স্মৃতি ৷