সূত্রের খবর, সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা অবধি জল দেওয়া হয়েছে। তারপরেই পাইপ ফেটে বিপত্তি৷ মহেশতলা, পুজালি, বেহালা, জোকা ও বজবজের বিভিন্ন এলাকায় গার্ডেনরিচের জল সরবরাহ করা হয়। বিকালের মধ্যে ফের জল সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা হয়।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত নেওয়া শেষ, গড়া হচ্ছে দশটি টিম, রাজ্যে আরও মারাত্মক অভিযানে নামছে ইডি!
advertisement
গার্ডেনের জল প্রকল্পে ১৮৫ মিলিয়ন গ্যালন জল উৎপন্ন হয়। এই পানীয় জল কলকাতা পুরসভার দক্ষিণ ও দক্ষিণ শহরতলির বেশিরভাগ অংশ ছাড়াও প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি পুরসভার চাহিদা মেটায়। কলকাতা পুরসভার ১৫ ও ১৬ নম্বর বরোর বেশিরভাগ অংশ ছাড়াও ১২ ও ১১ নম্বর বরোর অনেক অংশে এই জল পৌঁছয়।
সূত্রের খবর, সকাল ৯টার পর থেকে এই সব এলাকায় আর পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছয়নি। কলকাতা পুরসভার পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকেরা তড়িঘড়ি ছুটে যান গাড়ির জল প্রকল্পে। গার্ডেনরিচ ওয়াটার ওয়ার্কসের ভিতরে শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতা। ৬ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুরসভার আধিকারিকেরা। বিকেল ৪টে থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়। তবে জলের প্রেসার যাতে নিয়ন্ত্রিত থাকে সেই কারণে পরীক্ষামূলকভাবে কিছুক্ষণ চালানো হয়।
আরও পড়ুন: প্রবল চাপে পার্থ, দেহরক্ষীর ৭ আত্মীয় এবার সিবিআই-এর সামনে! চাকরিতে মহা-দুর্নীতি?
কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর বরো অর্থাৎ যেখানে এই গার্ডেনরিচের জল প্রকল্প অবস্থিত সেই বরোর চেয়ারম্যান রঞ্জিত শীল জানান, সকালে বেশিরভাগ সময়টাতেই জল পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে, শেষের দিকে কিছুক্ষণের জন্য বিভ্রাট হয়েছিল। দুপুরে বেশিরভাগ অংশেই জল দেওয়া হয় না। বিকেলের জল পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। কাজেই পাইপ ফেটে বিপত্তি হওয়ার জন্য কোথাও কোনও জল কষ্ট হয়নি বলে দাবি বরো চেয়ারম্যানের।