এদিন আগরতলার একটি হোটেলে ডাকা হয়েছিল বিশেষ বৈঠক। সেখানেই আলোচনা হয় মহিলা সংগঠনে জোর দেওয়ার প্রসঙ্গে। যে পথে এগোতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বের পরিকল্পনা, পরিবার পিছু এগোতে হবে সংগঠন বিস্তার করার ক্ষেত্রে। তাই পরিবারের মহিলাদের সমস্যা বুঝতে হবে। তাদের সংগঠনে ধীরে ধীরে কাছে টানতে হবে। পরিবারের মহিলারা, বাকি সদস্যদের বোঝাবেন। ফলে জন সমর্থন বাড়ানোর জন্যে এভাবেই ত্রিপুরায় এগোবে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
অপরদিকে, বাংলায় ছাত্রী ও নারীদের জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একাধিক স্কিম আছে। সেই স্কিমের সুফল ত্রিপুরার মানুষও পেতে পারেন৷ এই সব স্কিমের সুফল ত্রিপুরার মহিলাদের ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝানোর কাজ শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে ছাত্রীদের জন্যে কন্যাশ্রী। মেয়েদের বিয়ের সময়ে রুপশ্রী। এছাড়া ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি মমতা বন্দোপাধ্যায় মহিলাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছেন। এছাড়া মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্যে বাংলায় একাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে। সেই সব প্রকল্পের সুবিধা এবার ত্রিপুরার মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্যে মহিলাদের নিয়ে বৈঠক করলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
এদিন মহিলাদের জমায়েত দেখে খুশি তৃণমূল নেতৃত্ব। বিশেষ করে পাহাড় অঞ্চল থেকে যে ভাবে মহিলারা এসেছেন তা দেখে খুশি তারা। সাংসদ কাকলি দেবী জানিয়েছেন, বিজেপি সরকার মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে। বাংলার সুশাসন এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হোক, তা চাইছেন এখানকার মানুষ। আর সেই কাজের দায়িত্ব মহিলারাই হাতে তুলে নেবেন।