বিশেষ করে বৈঠক থেকে যেসব জেলা এবং বুথ ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের ফলাফল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন, সেইসব অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, আসানসোলের, আলিপুরদুয়ারের মত জেলা-সহ যেসব বিধানসভার বুথে ৫০টির বেশি ভোটে দল হেরেছে সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। ওই বুথগুলিতে কীভাবে ভোটারদের ফেরানো যায়, তার পর্যালোচনা করতে দ্রুত মিটিং ডাকার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
advertisement
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতিক্রমে যেসব নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছেন, তা দ্রুত বাস্তবায়িত করতে তৎপর হয়েছেন সর্বস্তরের নেতা-নেত্রীরা। প্রতি বুথে ১৫০-২০০ নাম বাদের ষড়যন্ত্র, এই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে কমিশনে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন ৷ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রত্যেকটা বুথে ইচ্ছাকৃতভাবে, কোনও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কথায় নির্বাচন কমিশন ১৫০-২০০ নাম বাদ দিয়েছে। যে নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ২০০২ সালের ভোটার লিস্টের হার্ড কপি যখন দেখা হচ্ছে, তাতে সেই নামগুলো রয়েছে।’’
প্রসঙ্গত ২০২১ সালেও বিধানসভা ভোটের প্রচারে পিছিয়ে থাকা বুথ চিহ্নিত করে এগিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বুথ ভিত্তিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল তারা। এছাড়া দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন বুথে বুথে প্রচার শুরু করেছিল। এবারেও বুথে বারবার নজর দিচ্ছে শাসক দল।
