ইংরেজি ও ভূগোলে জোড়া মাস্টার্স ডিগ্রি রয়েছে আমার । রয়েছে বি.এড ডিগ্রিও । এই প্রোফাইল নিয়েও যখনই কোনও ইন্টারভিউতে যাই আমার ডিগ্রির বদলে আমার ব্যক্তিগত পছন্দ নিয়েই অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা হয় । এমনকী একটি নামী স্কুলের প্রিন্সিপাল আমাকে এও জিজ্ঞেস করেছিলেন আমার স্তন আসল কিনা, মা হতে পারবো কিনা বা সন্তানকে স্তন্যপান করাতে পারবো কিনা, জানান সুচিত্রা ।
advertisement
২০১৭ সালে সেক্স-রিঅ্যাসাইনমেন্ট সার্জারি করিয়েছেন সুচিত্রা । বারবার হেনস্থার শিকার হয়ে পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি । ২০১৪ সালে নিয়ে শীর্ষ আদালত ট্রান্সজেন্ডারদের তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেওয়ার পরেও, কর্মক্ষেত্রে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁকে পদে পদে হেনস্থা হতে হয় সে কথা লিখে জানিয়েছেন সুচিত্রা । এমনকী, প্রয়োজনে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও লিখেছিলেন চিঠিতে ।
আরও পড়ুন: ইকো পার্কে জলে ডুবে মৃত্যু নিউটাউনের বাসিন্দার
পরে পশ্চিমবঙ্গ ট্রান্সজেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের পরামর্শে আইনি অভিযোগও জানিয়েছিলেন সুচিত্রা । যে চারটি স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তার মধ্যে দুটি স্কুলের প্রিন্সিপাল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । বাকি দুটি স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি নিউজ 18 ।
ইনপুট: সুজিত নাথ, প্রেমা রাজারাম