এই গুরুত্বপূর্ণ সাবওয়ে চালু হলে যাত্রীদের আর শিয়ালদহের ব্যস্ত কনকোর্স এলাকা অতিক্রম করতে হবে না, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে। রেলযাত্রীরা কম সময়ে ও কম চাপ নিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এবং মেট্রো রেলওয়ে পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মদ বিক্রিতে রেকর্ড পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা! দোলে কত টাকার মদ বিক্রি জানলে চমকে উঠবেন
advertisement
আধুনিক এই সাবওয়েতে বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেমন—ঢোকা এবং বেরোনোর জন্য র্যাম্প, যা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের চলাচল সহজ করবে। এছাড়াও, সাবওয়েটি উন্নত বায়ু চলাচল ব্যবস্থার মাধ্যমে বাতাসের গুণমান বৃদ্ধি করবে এবং দূষণের প্রভাব কমাবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে পথনির্দেশক ব্যবস্থাও থাকবে, যাতে যাত্রীদের আরও, সুবিধা হবে।
সম্প্রতি, পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপক শ্রী মিলিন্দ দেউস্কর সাবওয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন এবং দ্রুত বাকি কাজ সম্পন্ন করে এটি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই নবনির্মিত সাবওয়ে চালু হলে শিয়ালদহ থেকে কলকাতা মেট্রোর গ্রীন লাইন করিডোর, যা হাওড়া ও শিয়ালদহকে সংযুক্ত করে, সেখানে যাতায়াত আরও সহজ হবে”। তিনি শিয়ালদহ স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকার চলমান পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলির অগ্রগতি সম্পর্কেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বছর কুড়ি আগে তৈরি একটি সাবওয়ের একাংশ ভেঙে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন তৈরির পরিসর বার করা হয়েছিল। শিয়ালদহ উত্তর এবং মেন শাখার যাত্রীদের স্টেশন থেকে বেরিয়ে শিয়ালদহ কোর্ট এবং কোলে মার্কেট হয়ে বৌবাজারের দিকে যাওয়ার জন্য সেটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সাড়ে ১০ মিটার চওড়া এবং ১৪৪ মিটার লম্বা সাবওয়েটি তৈরির পরেও বেশির ভাগ যাত্রী ব্যবহার করতেন না। ওই সাবওয়ের পশ্চিম প্রান্তের একাংশ ভেঙে মেট্রো স্টেশন হয়। ফলে সাবওয়ের দৈর্ঘ্য ১৪৪ মিটার থেকে কমে ৮০ মিটারে ঠেকেছিল। তবে যাত্রী সুবিধায় সেই সাবওয়ের সংষ্কার করা হল।