দিন কয়েক আগেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি-সহ একঝাঁক ইস্যুতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এক প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। আর গত ২৯ অগাস্ট তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো সভামঞ্চ থেকেই চন্দ্রিমার নাম করে বিলকিস ইস্যুতে প্রতিবাদে নামার নির্দেশ দেন।
সেই মতো আজ ও আগামিকাল ৪৮ ঘণ্টার ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে দীপাবলি উৎসব পর্যন্ত আর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেবে না দল। তাই তড়িঘড়ি এই কর্মসূচি নেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
advertisement
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডে ১১ জনের মুক্তি-সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে এর আগে রাজপথে নামে মহিলা তৃণমূল। বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম থেকে গান্ধিমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত এই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ মালা রায়, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়রা। এই মিছিল থেকে বিলকিসকাণ্ডে দোষীদের পুনরায় জেলে পাঠানোর দাবি ওঠে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গ্রেফতার। অন্যদিকে গরু পাচারের মামলায় শাসকদলের আরও এক ‘ওজনদার’ নেতা জেল হেফাজতে। বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক পেয়ে দিল্লি পর্যন্ত ছুটতে হচ্ছে একাধিক পুলিশকর্তাকে। বিভিন্ন দিক থেকে বিরোধীদের সমালোচনায় কার্যত কোণঠাসা তৃণমূল। এই আবহে পথে নামতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসকে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, নজর ঘোরাতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল।
তবে মন্ত্রী শশী পাঁজার বক্তব্য, ''ধর্ষণ একটা জঘন্যতম অপরাধ। নজরটা ওখানেই থাকা উচিৎ। যে দু’জনকে নিয়ে বিজেপির এত মাথা ব্যথা, তা বিজেপির না ভাবলেও চলবে। আইন বিষয়টা দেখছে। বিজেপিকে দেখতে হবে না। সিবিআই, ইডি তাদের কাজ করছে। ধর্ষণকারীদের কেন রেহাই দিয়ে দেওয়া হল, কেন্দ্র কেন এই ঘটনা নিয়ে নীরব সেটার জবাব দিক।''
আরও পড়ুন: সারদার সাঁতরাগাছি মামলাতেও ছাড় পেলেন কুণাল ঘোষ
অন্যদিকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ''যেখানেই অবিজেপি সরকার, বিশেষ করে বাংলায় যেভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে নিত্যদিন করা হচ্ছে, তার তীব্র প্রতিবাদ করি। একই অভিযোগে অভিযুক্ত অন্যেরা, তাদের গায়ে আঁচড় পড়ছে না। কারণ তারা বিজেপির অনুগত। তার বিরুদ্ধেও আজ আমাদের প্রতিবাদ। অভিযোগ যদি এক হয়, একই তো তার পদক্ষেপ হওয়া উচিত, তা হয়নি। একইসঙ্গে বিলকিস বানোর ঘটনা আজও আমাদের লজ্জায় ফেলছে। সিবিআইয়ের কাছে এই মামলা তদন্তের জন্য ছিল। তার পর গুজরাতের কোর্ট থেকে তা বম্বে কোর্টে স্থানান্তরিত হয়। বেম্বে কোর্ট দণ্ড দেয় এবং এরা দণ্ডিত অপরাধী। সেই ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়া হল। আমরাও এর শেষ দেখে ছাড়ব।''