একুশের পর চব্বিশ। বাংলায় সবুজ সুনামি। এবার তৃণমূলের পাখির চোখ ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই সংগঠনে বড়সড় রদবদল করেছেন ঘাসফুল নেতৃত্ব। অনেক জেলায় নেতৃত্বে উঠে এসেছেন নতন মুখ। নেতাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই সংগঠনে রদবদল করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের পারফরম্যান্সেও নজর রাখা জরুরি বলে মনে করছেন নেতৃত্ব। দলের অন্দরে জোর আলোচনা, রদবদলের পরেও পরীক্ষার মধ্যে দিয়েই এগোবে তৃণমূল।
advertisement
নেতারা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছেন কি না, তা নজর রাখা হবে। কর্পোরেট কায়দায় নেতাদের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হতে পারে। বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। এখন থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে তৃণমূল। বিরোধীরাও নানা ভাবে প্রচারে নেমে পড়েছে। সূত্রের খবর, ২১ জুলাইকে সামনে রেখে, জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হবে কর্মিসভা।
সাংসদ-বিধায়ক এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সভা হবে। যে সব বিধানসভা এলাকায় বিধায়ক নেই সেখানকার দায়িত্বে থাকবেন জেলা সভাপতি। পার্শ্ববর্তী এলাকার বিধায়ক সেই জেলা সভাপতিকে সাহায্য করবেন। ২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এবারের ২১ জুলাইকে মেগা সমাবেশে পরিণত করতে এগোবে শাসক দল।
এইসব কর্মসূচির মাধ্যমেই নেতাদের দক্ষতা যাচাই করতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দেখা হবে, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জনসংযোগের ক্ষমতা। সকলকে নিয়ে চলতে পারছেন কি না, দলের মধ্যে নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কি না, সে সব নজরে রাখবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এভাবেই বিধানসভা ভোটের আগে, সাংগঠনিক ক্ষমতাও যাচাই করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। কুণাল ঘোষ, তৃণমূল মুখপাত্র জানিয়েছেন, এর সবটাই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। দল একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেই এগোচ্ছে। যদিও শাসক দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে একটাই বিষয়, তৃণমূলে রদবদলের পরেও পরীক্ষা, পদ বাঁচাতে পারফরম্যান্সই শেষ কথা!