এর প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে শাসক দল। শান দিতে চাইছে বাঙালি আবেগে। ১৬৯ ধারায় এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা বিশ্বে পঞ্চম এবং এশিয়ায় দ্বিতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলে বাংলা ভাষা অন্তর্ভুক্ত। ২০১১-র আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতের ৮.৩ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলেন। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও অসমের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা বাংলা। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী রয়েছেন।
advertisement
ভিন রাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণ ও মানসিক নির্যাতন চলছে।পরিযায়ীদের আটক করে পরিবারের থেকে জরিমানা করা হচ্ছে। তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে বাংলাদেশে জোর করে পাঠানো হচ্ছে। দেশের শাসক দল অমানবিক অচরণে মদত দিচ্ছে বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলে বহিরাগত তকমা দিচ্ছে।
এই বিষয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বসবাস করেন, তাঁদের উপর যে নির্যাতন হচ্ছে। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গবাসী। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থাকেন। তাঁরা উদ্বেগে কাটাচ্ছেন। সেটা নিয়ে আলোচনার জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। ৪ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর আশার সম্ভাবনা। তিনি আলোচনায় অংশ নেবেন।
আবার শুভেন্দু অধিকারী, বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘কাজ নেই তো খই ভাজ।’’ অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপি বিধায়ক বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রায়োরিটি হচ্ছে রাজনীতি করা।’’ পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হঠাৎ করে বাঙালিদের উপর মারধর। এটা পরিকল্পিত ব্যাপার। ওরা আর কোনও রাস্তায় পারবে না। এটা লাস্ট ওদের ওয়ে প্ল্যান ছিল বলে আমার ধারনা।’’
বাঙালিকে মেরে শেষ করতে পারবে না। পাল্টা দিতে শুরু করলে ৩৫৬-র রাস্তা সুগম হবে। ঘৃণ্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। কখনও হরিয়ানা, কখনও দিল্লি কখনও আবার ওড়িশা। এইসব রাজ্যে কাজ করেন পশ্চিমবঙ্গের অনেকে। সেখানে বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিযোগ, কখনও থানায় তুলে নিয়ে মারধর করছে পুলিশ। কারও পা ভাঙছে। কাউকে আবার জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। এর প্রতিবাদেই এবার বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে সরকার পক্ষ।