কেন্দ্রের থেকে এখনও মিলল না বকেয়া অর্থ, পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হেনস্থা ও সুষ্ঠু ভাবে উৎসব সম্পন্ন করা বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে তুলে ধরা হবে বলেই দলীয় সূত্রে ইঙ্গিত। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে লড়াইয়ের মাঠ বুঝে নিতে আজ থেকেই ঝাঁপাতে শুরু করছে রাজ্যের শাসক দল। এ ব্যাপারে রাজ্যের সমস্ত জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। আগামী রবিবার থেকেই এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন শুরু হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটিগুলিতে।
advertisement
জনসাধারণের মন বুঝে নিতে এবং সংযোগ বজায় রাখতে চলতি মাসের শুরু থেকেই মাঠে নামছে তৃণমূল। দুর্গাপুজোর পর এবার জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন রাজ্যের শাসক দলের। বিজয়া সম্মিলনীর দৌলতে আগামী নির্বাচনের আগে জনমতের ভিত আরও মজবুত করতেই এই আয়োজন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করছে তৃণমূল। উত্তর থেকে দক্ষিণ সবকটি জেলাতেই অঞ্চল ভিত্তিক এই সম্মিলনীর আয়োজন করা হবে।
সম্মিলনীর মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আগামী বিধানসভার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা পাশাপাশি অ্যাসিড টেস্ট করে নেওয়ার জন্যে এখন থেকেই ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমত অবস্থায়, জনসমর্থন কোনও ভাটা পড়ছে কিনা, পড়লে সেটা রোখার কী উপায় রয়েছে, সমস্ত কিছু বুঝে নিতেই মাঠে নামছেন তৃণমূল নেতারা। ইতিমধ্যেই জেলা স্তরের সমস্ত নেতৃত্বকে বিজয়া সম্মিলনী সূচি অনুযায়ী পালন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কালীঘাট।
আরও পড়ুন: আজারবাইজানে ভারতীয় ‘১ টাকার’ মূল্য কত জানেন…? শুনলেই চমকাবেন, গ্যারান্টি!
দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এই মরশুমের পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজয়া সম্মলনীতে নেমে পড়বেন তিনি। নিবিড় জনসংযোগ করবেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ভাল কাজগুলি আর একবার জনগণকে মনে করিয়ে দেওয়া। কারও কোনও প্রস্তাব থাকলে তা গ্রহণ করে নেওয়া। বিরোধীরা যে কুৎসার চক্রান্ত করছে সেগুলিকে ব্যর্থ করতে জনসাধারণকে বাম জমনার অবস্থা ও বিজেপি যে রাজ্যে রয়েছে সেখানকার অবস্থা বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তুলে ধরবেন।”