নন্দীগ্রাম ১ ও নন্দীগ্রাম ২ ব্লক মিলিয়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৯৫৬ ভোটে পরাজিত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলকে আক্রমণ করতে এখনও এই ১৯৫৬ ভোটের এই জয়কেই অস্ত্র করেন বিরোধী দলনেতা৷
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদে ১৩ জেলার বিজেপি ‘শূন্য’! মুখ পুড়ল উত্তরবঙ্গেও
advertisement
এমনিতে নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে তৃণমূল ও বিজেপি-র তুল্যমূল্য লড়াই হয়েছে৷ নন্দীগ্রামের দুটি ব্লক মিলিয়ে ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে৷ এর মধ্যে ৮টি গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে, ৯টি দখল করেছে বিজেপি৷
পঞ্চায়েত সমিতিতেও ফল ১-১৷ আবার জেলা পরিষদে নন্দীগ্রাম থেকে পাঁচটি আসনের তিনটিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ দুটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি৷
নন্দীগ্রাম পুনরুদ্ধারের জন্য তৃণমূল দায়িত্ব দিয়েছিল কুণাল ঘোষকে৷ ফলাফল সামনে আসার পরই প্রত্যাশিত ভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল৷ ট্যুইটারে তিনি লেখেন, জেলা পরিষদের ফলাফল অনুযায়ী নন্দীগ্রামে ১০,৪৫৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল৷ ফলে ১৯৫৬ ভোটে জেতার বিকৃত গল্প ভাসিয়ে দেওয়া লোডশেডিং বিধায়কের দাবি নস্যাৎ হয়ে গেল৷ শুভেন্দু অধিকারীকে ব্লক স্তরের নেতা বলেও কটাক্ষ করেছেন কুণাল৷
ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও জেলা পরিষদের ফলাফলে নিজের বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে পড়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু৷ তবে নন্দীগ্রামের ফল আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক লড়াই আরও জমিয়ে দিল৷