নতুন বছরেই তৃণমূলের নজরে বেশ কয়েকটি জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, মালদার মতো জেলায় নজর। মারিশদা আর তাতলা পঞ্চায়েতের আগে দলের জিরো টলারেন্স মডেল।পঞ্চায়েতের আগে এই দুই উদাহরণকে সামনে রাখছে দল।আবাস যোজনা সহ একাধিক ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া আক্রমণের মুখে দল। বারবার সতর্ক করা হয়েছে দলের তরফে। দলের আভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ।
advertisement
এই অবস্থায় আজ কড়া অবস্থার কথা জানাতে পারে দল।পঞ্চায়েত নিয়ে আরও সতর্ক দল। দলের অন্দরে জমা পড়া সব রিপোর্ট দ্রুত খতিয়ে দেখা হবে।সব জেলা সভাপতিদেরও এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন," দল ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ অভিষেক সমীক্ষা করিয়েছে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট দেখেই পঞ্চায়েতে প্রার্থী হবে। অনেকে মনে করছে তাদের ভয় পাওয়ার কারণ আছে৷ তাই তারা পদত্যাগ করছে৷ তবে আমাদের বিরোধীদের কাছে কিছু নেই। আমাদের কাছে আসার মতো দল নেই৷ ওই তো বিজেপি যারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল।দলে শুদ্ধিকরণের কাজ এগোচ্ছে। দল কাউকে বাড়ি দিতে বলেনি। আবাস যোজনায় যারা দূর্নীতি করেছে তারা ক্ষমার অযোগ্য৷ সঠিক প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা।"
আরও পড়ুন - যাত্রী নিয়ে আজ দৌড় শুরু জোকা-তারাতলা মেট্রোর
শুদ্ধিকরণ, জনসংযোগ ও বকেয়া কাজের দ্রুত নিরসন—এটাই হতে চলেছে তৃণমূলের আগামী লক্ষ্য। এই নির্দেশ দলের তরফে রাজ্যের সর্বত্র জরুরি ভিত্তিতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, শুদ্ধিকরণের পথে দল যে হাঁটা শুরু করেছে, তা তৃণমূলের অতি সাম্প্রতিক কয়েকটি পদক্ষেপে স্পষ্ট। মঙ্গলবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পূর্ব মেদিনীপুরের শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নামে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে। দলের অন্তর্তদন্তে সেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। তারপরই দলের নির্দেশে তিনি ইস্তফাও দিয়েছেন। এই মডেল রাজ্যজুড়েই চলবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন - Joka Metro: ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিয়েই যাত্রা শুরু জোকা মেট্রোর
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার ব্যাখ্যা, সরকারি পদে থেকে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করা যাবে না। কোনও অভিযোগ এলে তার তদন্ত হবে। আর দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীকে রেয়াত করা হবে না। এখানে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে, আজ দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বকে আচরণবিধি নিয়ে কোনও কড়া বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অন্যদিকে, ২০২৩ সালে রাজ্যে মেগা ভোট পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে রাজ্যের শাসক দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস, পঞ্চায়েত ভোটকে মোটেই হালকা চালে নিচ্ছে না। তার জন্য পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে সাংগঠনিক প্রস্তুতিও। আর ২০২৩-এর গোড়া থেকেই এই নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছেন নেতা-কর্মীরা।
দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, " তৃণমূল কংগ্রেস বেনজির অভিযান চালাচ্ছে। সেলিম নিয়ে বিপুল অভিযোগ আসে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। ওনাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। আসলে এটা শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া৷ এটা তৃণমূল কংগ্রেসই পাড়ে৷ এটা অত্যন্ত ইতিবাচক। এত বড় রাজ্য, এত বড় বড় জেলা। অভিযোগ আসলেই তদন্ত হচ্ছে। মারিশদায় গিয়ে অভিষেক নিজেই দেখে এসেছেন। এক ডাকে অভিষেক এই জন্যেই চালু হচ্ছে। দল যাদের দায়িত্ব দিচ্ছে। যেন সেখানে বিচ্যুতি না আসে। সেটা দেখা হচ্ছে।"
ABIR GHOSHAL