লোকসভার আগে নজরে তৃণমূলের সংগঠন।পঞ্চায়েতের ফল দেখেই সিদ্ধান্ত শাসক দলের। খারাপ পারফরম্যান্স যে সব বুথে, জেলায় সেখানে বদলাতে পারে সাংগঠনিক নেতৃত্ব। নদীয়া, দার্জিলিং, মালদা, মুর্শিদাবাদ, সহ বেশ কয়েকটি জেলায় নজরে। লোকসভার আগে সংগঠনের নীচুস্তরে বাড়তি নজর। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন অধিবেশন মঞ্চ থেকে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আগেভাগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের অঙ্গদান, দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির ৬ অঙ্গদান SSKM-এ!
পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে জেলার সাংগঠনিক নেতাদের দায়িত্ব কি হতে চলেছে তা আগেভাগেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন৷ রাজনৈতিক সূত্রের খবর, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলার বুথে নজর এসেছে, যেখানে কোনও না কোনও ভাবে পারফরম্যান্স যথাযথ হয়ে ওঠেনি৷ আর এই সব জায়গায় সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করছে দল। তবে সংগঠনের কাজে পারফরম্যান্স যে সর্বাধিক গুরুত্ব নিয়ে দেখা হবে তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷
আরও পড়ুন: লোকসভার আঁচ পেতে অভিনব পথে বিজেপি, উপনির্বাচনেই বাজিমাত চায় গেরুয়া শিবির
এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক তাপস রায় জানিয়েছেন, দলের প্রতীক, দলের সংগঠন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তিনটিই প্রধান। বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রতিনিধি যারা হচ্ছেন, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ও শক্তিশালী সংগঠনের জন্যেই জয় হাসিল করে নিচ্ছেন৷ এর পরেও যদি কেউ সংগঠনের কাজে ফাঁকি মারে, যথাযথ দায়িত্ব পালন না করতে পারে তা একটা অপরাধ৷ একটা দলের প্রধান কাজই হল সংগঠনকে মজবুত প্রতিনিয়ত করা৷ আগেও দলের সংগঠনের কাজে নজর রাখা হত। এখনও সেই নজর রাখা হচ্ছে, তবে তা আগের তুলনায় অনেক বেশি৷ আর যে পারফর্ম করবে সে সুযোগ পাবে, যে করবে না সে পাবে না এটা বরাবর বজায় রাখা উচিত।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পুরোপুরি শুরু হয়ে যাবে লোকসভার প্রচার। ইতিমধ্যেই লোকসভাকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে শাসক দল৷ সূত্রের খবর, যে সব স্থানে ফল খারাপ বা দ্বন্দের ছবি উঠে এসেছে সেখান থেকেই এবার দুর্বলতা সরিয়ে সরাসরি শক্তিশালী সংগঠন মজবুত করতে চাইছে তৃণমূল৷
