৭০ ওয়ার্ড, যা কখনওই তৃণমূলের পক্ষে লাভজনক ছিল না, এমনকি ২০১৫ সালের পুরভোটেও এখানে জিতে যায় বিজেপি প্রার্থী, ২০২১ এর নির্বাচনে এখানে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল ২০৯২ ভোটে। এবার সেখানে এগিয়ে গেল ১৭০০ ভোটে (TMC won all wards of Bhabanipur)। এই ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন বিধায়ক দেবাশিষ কুমার।
৭১ ওয়ার্ড। ২০২১ এর নির্বাচনে এখানে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ১৯৬৫ ভোটে। উপনির্বাচনে তৃণমূল সেখানে এগিয়ে গেল ৫৯০০ ভোটে। এই ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
advertisement
৭২ নম্বর ওয়ার্ড। ২০২১ এর নির্বাচনে তৃণমূল এখানে এগিয়ে ছিল ৩৩৯ ভোটে। উপনির্বাচনে তৃণমূল এখানে এগিয়ে গেল ৩৫০০ ভোটে। এই ওয়ার্ড দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল ২০২১ এর ভোটে এগিয়ে ছিল ১৮৩১ ভোটে। এবার সেখানে তৃণমূল এগিয়ে গেল ৫৮২৮ ভোটে। এই ওয়ার্ড দেখার দায়িত্বে ছিলেন কার্তিক বন্দোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-Facebook, Instagram, Whatsapp ফিরল একে একে, ৬ ঘণ্টারও বেশি থমকে সোশ্যাল দুনিয়া
৭৪ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে ২০২১ এর ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল ৫৩৭ ভোটে। চলতি ভোটে সেখানে তৃণমূল এগিয়ে গেল ৪৯৭২ ভোটে। এই ওয়ার্ড দেখার দায়িত্বে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে ২০২১ এর ভোটে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ২১৩৭৯ ভোটে। উপনির্বাচনে তৃণমূল এগিয়ে গেছে ২২০০০ ভোটে। এই ওয়ার্ড দেখার দায়িত্বে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের লিড ছিল ২০২১ এর ভোটে ৫২০৯। উপনির্বাচনে সেই লিড বেড়ে হয়েছে ১৬০০০। এই ওয়ার্ড দেখার দায়িত্বে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম।
৭০ ও ৭৪ যা বরাবর অক্সিজেন দিয়ে এসেছে বিজেপিকে সেই দুটি ওয়ার্ডে তৃণমূল জয় (TMC won all wards of Bhabanipur) পাওয়ায় খুশি জোড়াফুল শিবির। দুই নেতা ফিরহাদ হাকিম ও দেবাশিষ কুমার বলছেন, "এই জয় প্রতিদিন মানুষের সাথে সম্পর্ক আর যোগাযোগ রাখার জয়।" তবে এই ওয়ার্ডগুলি দ্রুত পুনরুদ্ধার হয়ে যাবে বলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন অপেক্ষা আসন্ন পুর নির্বাচনে এই ওয়ার্ডগুলিতে বিজেপির জমি উদ্ধার হয় কিনা তা দেখার।