এদিকে গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলের ধরনায় জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে তাঁরা শুনতেই পাননি। আর তৃণমূলের কথায়, “বিজেপির এহেন আচরণকে ধিক্কার জানাই। আইন আইনের পথে চলবে।”বুধবার বিকেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি চলছিল। ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে অমিত শাহের সভা শেষ হতেই শুভেন্দু-সহ বিজেপির অন্য বিধায়করা বিধানসভায় হাজির হন। তৃণমূলের ধরনার অদূরে গাড়ি বারান্দার নিচে পালটা ধরনা শুরু করেন তাঁরা। ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন।
advertisement
এদিকে তৃণমূলের কর্মসূচির ধরনার শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন বিজেপি স্লোগান দিতে থাকে। এর পরই তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।ইতিমধ্যেই বুধ ও বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে লিখিতভাবে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিন তৃণমূল বিধায়ক। এর পরই বিধানসভায় সেন্ট্রাল ডিসিকে ডেকে পাঠান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ফের কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে বাংলার স্বীকৃতি, মাংস-দুধ-ডিমে নজির গড়ল বাংলা!
সূত্রের খবর, অভিযোগপত্র তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় FIR দায়ের হয়েছে। অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, তৃণমূলের ধরনা শেষে জাতীয় সঙ্গীত চলছিল। তখন বিজেপির বিধায়করা স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর ফলে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হয়েছে। আর এই অভিযোগ পত্রে নিজের নাম দেখে অবাক আলিপুরদুয়ারের বিজেপির টিকিটে জেতা বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল৷ তিনি বুধবার হাজির ছিলেন বিধানসভায়৷ দলের হুইপ মেনে কালো পোশাকে ছিলেন৷
আরও পড়ুন: পোল অফ পোলসে মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থানে এগিয়ে বিজেপি, তেলঙ্গানা-ছত্তিশগড় কংগ্রেসের
এমনকি তাকে আম্বেদকর মূর্তির নীচে দেখা গেছে অবস্থানে সামিল হতে৷ এহেন শাসক দলের সংস্পর্শে থাকা বিধায়কের নাম অভিযোগ পত্রে থাকায় অবাক রাজনৈতিক মহল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এটাকে পাগলের কান্ড বলছেন৷ আর অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ভুল নাম থাকলে তা বাদ যাবে নিশ্চিত অভিযোগ পত্র থেকে৷” তবে হিরণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন, হিরণকেই প্রমাণ করতে হবে যে তিনি সেখানে ছিলেন না৷ তবে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তদন্ত তদন্তের মত চলবে৷ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, “ তৃণমূলের অবস্থানে জাতীয় সংগীত হচ্ছিল এমন শোনেননি।” একইসঙ্গে এনিয়ে মুখ্যন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন তিনি। যদিও বিজেপির দাবিকে আমল দিতে রাজি নন স্পিকার। তাঁর কথায়, “ ওরা শুনতে পেয়েছে না পায় নি, আমার কিছু বলার নেই। প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই সুর শোনা গিয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলাতেও। বিজেপির আচরণকে ধিক্কার জানিয়ে তাঁর দাবি, “আইন আইনের পথে চলবে।”