আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘ এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা রাজ্যের সব পঞ্চায়েতে পৌঁছে যেতে চাই। প্রায় ৩৩৪২ গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের সকলে পৌঁছে যাবেন। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে, রাজ্য জুড়ে একাধিক সামাজিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের জন্য একাধিক স্কিম আনানো হয়েছে। মহিলারা সেই সুবিধা পাচ্ছেন। আগামীদিনেও সেই উন্নয়নের ধারাও বজায় থাকবে৷ এটাই মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার মাধ্যমে বোঝানো হবে ৷ ’’
advertisement
আপাতত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, একসঙ্গে দুটি কর্মসূচি পালন করা হবে। একদিকে গ্রামের মহিলারা যাবেন বাড়ি বাড়ি। অন্যদিকে পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন মহিলাদের নিয়ে করা হবে। স্থির হয়েছে আপাতত আগামী ৭৫ দিন ধরে চলবে এই রাজনৈতিক কর্মসূচি।
দলীয় সূত্রে খবর, প্রতি ২৫ দিন অন্তর অন্তর রিপোর্ট দেওয়া হবে। তার প্রেক্ষিতে পরবর্তী কর্মসূচি স্থির করা হবে। এই রাজনৈতিক কর্মসূচি চালানোর জন্যে, বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মালা রায়, মালা সাহা, স্মিতা বক্সী-সহ ৮ জনকে। তাঁরা কো-অর্ডিনেটর হিসাবে এই দায়িত্ব সামলাবেন। জেলা-রাজ্যের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করবে এই কো-অর্ডিনেটর। তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের মহিলা সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামে গ্রামে যাবে ৷ গ্রামে মানুষের বঞ্চনা আছে। আমরা কেন্দ্রের তরফে টাকা পাচ্ছি না৷ মানুষকে সেটা বোঝাতে হবে৷ আমরা দুর্নীতি নিয়ে সরব। আমরা জিরো টলারেন্স নিয়ে চলেছি। কিন্তু রাজ্য মানুষের কাছে উন্নয়ন মূলক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ায় আমাদের কোনও খামতি নেই।’’ তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে অবশ্য কটাক্ষ করেছে বিজেপি শিবির।