তৃণমূল সূত্রে খবর, কলকাতার উত্তরে আর থাকল না কোনও সভাপতি। কলকাতা উত্তরের সভাপতি থাকা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে করা হল চেয়ারপার্সন। এই কোর কমিটিতে রয়েছেন আরও ৯ জন সদস্য। এই নয় সদস্য হলেন, অতীন ঘোষ, জীবন সাহা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ পাল, ড: শশী পাঁজা, সুপ্তি পাণ্ডে, স্বপণ সমাদ্দার, স্বর্ণকমল সাহা, বিবেক গুপ্ত। দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হলেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক।
advertisement
আরও পড়ুন: এখনও আটকে হিলারি স্টেপেই! এভারেস্ট জয়ী সুব্রতর দেহ কেন উদ্ধার হল না এখনও?
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গেও বড় সাংগঠনিক রদবদল করল তৃণমূল। দার্জিলিং সমতল সরিয়ে দেওয়া হল পাপিয়া ঘোষকে সভাপতি পদ থেকে। মালদার চেয়ারপার্সন ছিলেন সমর মুখোপাধ্যায়। তাঁকে সরিয়ে চেয়ারপার্সন করা হল বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকারকে।
বাঁকুড়ার সভাপতি করা হল তারাশঙ্কর রায়কে। আগে ছিলেন অরূপ চক্রবর্তী। মুর্শিদাবাদ বহরমপুর জেলার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন রবিউল আলম চৌধুরী। তাঁকে সরিয়ে এই পদে নিয়ে আসা হল নিয়ামত শেখকে। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলায় চেয়ারম্যান পদে নিয়ে আসা হল সাংসদ মিতালী বাগকে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান করা হলো সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরকে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলাতেও আসল বদল। সরানো হল অলোক মুখার্জিকে। সভাপতি পদে ছিলেন।
বদল করা হলুদ তমলুক সাংগঠনিক জেলা। বদলানো হল চেয়ারম্যান ও সভাপতি। নতুন সভাপতি হলেন সুজিত কুমার রায়।। চেয়ারম্যান হলেন দীপেন্দ্র নারায়ন রায়।
এদিন রাজ্যের প্রায় সবজেলাতেই সাংগঠনিক রদবদল করেছে তৃণমূল৷ অধিকাংশ জায়গাতেই জেলা সভাপতির পদ তুলে দিয়ে কোর কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তার মধ্যে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বীরভূম৷ কারণ কাগজে কলমে অনুব্রত আর বীরভূমে দলের শেষ কথা থাকলেন না৷ তাঁর মাথার উপরে বসানো হল আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷