যদিও সেই ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়েই রাহুল গান্ধির ভূয়সী প্রশংসা করলেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। রাহুল গান্ধিকে যুব সমাজের আইকন বলেও প্রশংসা করেন তিনি। রাহুলের এই ভারত জোড়ো যাত্রার সঙ্গে লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রার সাফল্য়ের তুলনাও টেনেছেন শত্রুঘ্ন। তবে তৃণমূল সাংসদ অবশ্য় স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গেই আছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ থেকে ৫২৮ কোটি! তৃণমূলের ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
advertisement
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন বলেন, 'আমার নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি প্রকৃত অর্থেই গোটা দেশের আম জনতার নেত্রী। আমি তাঁর সঙ্গেই আছি। কিন্তু এমন কিছু জিনিস ঘটে যার থেকে নজর সরানো যায় না। যেমন রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রা। এই যাত্রা বৈপ্লবিক।'
আরও পড়ুন: 'শরীর খুব খারাপ, জেলে কোনও ব্যবস্থা নেই', কাতর আর্তি পার্থ-অর্পিতার
রাহুল গান্ধির প্রশংসা করে এর পর শত্রুঘ্ন আরও বলেন, 'রাহুল গান্ধি এই যাত্রার মাধ্য়মে দেশের যুব সমাজের আইকন হয়ে উঠেছেন। তাঁদের প্রত্য়াশা, প্রতীক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। রাহুল গান্ধির এই যাত্রা অদ্ভুত, অভাবনীয়। সব বয়সের, সব ধর্মের, নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই এই যাত্রায় অংশ নিচ্ছেন। রাহুল গান্ধি এই যাত্রা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করছেন না। বরং ভারতকে জোড়ার কথা বলছেন। এমন যাত্রা এর আগে হয়তো হয়নি। শুধুমাত্র যাঁকে আমি সর্বোচ্চ নেতা বলে মানি, সেই লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রার সঙ্গে এর তুলনা চলে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরজির যাত্রার কথাও মনে পড়ছে। চার দশক ধরে রাহুল গান্ধি উপহাস, উপেক্ষা আর তিরস্কারের শিকার হয়েছেন। আর কয়েক দিনের মধ্য়েই তিনি কাশ্মীরের লাল চকে জাতীয় পতাকা তুলবেন। সাফল্য়, সম্মান এবার তাঁর কাছে এসে ধরা দেবে।'
রাহুল গান্ধির ভূয়সী প্রশংসা করে দলীয় সাংসদের এই মন্তব্য় তৃণমূল কংগ্রেসের যথেষ্টই অস্বস্তির। দলের রাজ্য়সভার সাংসদ শান্তনু সেনের কথাতেও তা স্পষ্ট। শত্রুঘ্ন সিনহার মন্তব্য়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি ভারত জোড়ো যাত্রা এবং কংগ্রেসকেই ফের কটাক্ষ করেছেন। শান্তনু সেন বলেন, 'শত্রুঘ্ন সিনহা যা বলেছেন সেটা তাঁর ব্য়ক্তিগত মতামত। কংগ্রেস নিজেরাই দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত। গুলাম নবি আজাদের মতো নেতা দল ছাড়ছেন। কংগ্রেস বরং আগে নিজেদের জুড়ুক।'