তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে এই মুহূর্তে সৌগত রায়ই প্রবীণতম৷ অভিজ্ঞতার নিরিখেও অন্যদের থেকে এগিয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের এই প্রাক্তন অধ্যাপক৷ নির্বাচনের আগে তৃণমূলে নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্বের সময়ও তাঁর ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত এবারও দমদম থেকে ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি৷ এই নিয়ে টানা চার বার দমদমের সাংসদ নির্বাচিত হলেন সৌগত রায়৷ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অবশ্য পাঁচ বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: নীচে রূপনারায়ণ, ট্রেন থামিয়ে কোলাঘাটে সেতুর মাথায় যুবক! দাবি শুনে থ পুলিশ
বরানগরের ওই অনুষ্ঠানে তৃণমূল সাংসদকে ভোটে জেতার জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ সেই মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, আমি আর নির্বাচনে দাঁড়াব না৷ পাঁচ বছর আছি, আপনাদের সঙ্গে থাকব৷
অভিজ্ঞতার নিরিখে রাজ্য রাজনীতিতে সৌগত রায় প্রথম সারিতেই থাকবেন৷ দমদমের আগে ১৯৭৭ সালে ব্যারাকপুর থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন সৌগত রায়৷ চরণ সিং মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি৷ ২০০৯ সালে দমদমের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর মনমোহন সিং মন্ত্রিসভায় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন তৃণমূল সাংসদ৷ এর পাশাপাশি আলিপুর, ঢাকুরিয়া, বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়কও নির্বাচিত হয়েছেন সৌগত৷ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম আস্থাভাজন সাংসদও তিনি৷
এ দিনের ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই সৌগত রায় দাবি করেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল সাফল্যের পিছনে রয়েছে মহিলা ভোটারদের সমর্থন৷ তৃণমূল সাংসদ বলেন, মহিলারাই আসল রক্ষাকর্ত্রী। বস্তি থেকে শুরু করে গ্রামের যে সমস্ত মহিলারা লক্ষীর ভাণ্ডার পেয়েছেন, তাঁরা আমাদের ঢেলে ভোট দিয়েছেন। শহরাঞ্চলের যে সমস্ত মহিলারা বড় আবাসনে থাকেন, তাঁরা আমাদের ভোট দেননি।