শুধু তাই নয়, লোকসভা নির্বাচনের আগে ভাবমূর্তি উদ্ধার না করলে ২০২৪-এ তৃণমূলের লড়াই আরও কঠিন হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ৷ দলের সাংসদের প্রকাশ্যে এমন মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল৷ যদিও জহর সরকারের মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷
এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তার পর গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে৷ তৃণমূল নেতাদের বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে৷ সবমিলিয়ে দুর্নীিতর অভিযোগে রীতিমতো অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ এই পরিস্থিতিতে সেই অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিলেন প্রাক্তন আইএএস অফিসার জহর সরকার৷
advertisement
আরও পড়ুন: মুখ খুলবেন অনুব্রত? হাতে আরও তথ্য প্রমাণ নিয়ে আজ আসানসোল জেলে যাচ্ছে সিবিআই
নিজের হতাশা ব্যক্ত করে জহর সরকার বলেছেন, 'মোদির সঙ্গে লড়াই করতে পারে একমাত্র যে শক্তি, আমি সেই দলের অংশ ভেবে গর্ব বোধ হত৷ এ বছরের শুরুর দিকেও সেই অনুভূতি কাজ করত৷ বুকের ছাতি ফুলিয়ে আমরা সংসদে ঘুরে বেড়াতাম৷ কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কেমন একটা হীনমন্যতায় ভুগছি৷ লোকে যেভাবে দেখছে, তাতে অস্বস্তি হয়৷ মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি তো৷' তৃণমূল সাংসদ এমনও বলেন, দলের দুর্নীতি নিয়ে খোঁচা দিয়ে বন্ধুরাও তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না৷ জহর সরকারের কথায়, 'বন্ধুরা বলছে, কী রে কত পেলি?'
তবে নিজের দলের সব নেতাকে নিয়ে যে মনোভাব সমান নয়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন জহর সরকার৷ তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'সুগত বসুকে (প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ) কেউ অসৎ বলতে পারবে? এই যে আমি সুখেন্দুশেখর রায়কে সামনে থেকে দেখি, তিনি একেবারেই সাধারণ জীবনযাপন করেন৷ এরকম অনেকেই আছেন৷ কিন্তু আবার এক শ্রেণিকে দেখলেই মনে হয় ধান্দাবাজ৷ এটা শুধু তৃণমূল নয়, সব দলেই আছে৷'
আরও পড়ুন: অনুব্রত মামলার বিচারককে হুমকির ঘটনায় নয়া মোড়, গভীর রাতে বর্ধমানে গ্রেফতার আইনজীবী
২০২৪-কে পাখির চোখ করেই এগোচ্ছে তৃণমূল৷ যদিও দুর্নীতি নিয়ে দলকে সতর্ক করে জহর সরকারের বার্তা, 'এক সাইড পচা শরীর নিয়ে ২০২৪-এ লড়াই করা খুব মুশকিল৷' তৃণমূল সাংসদ এ কথাও জানিয়েছেন, দুর্নীতির এই পরের পর অভিযোগ নিয়ে দলের মধ্যেও কথা হয়েছে৷ শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা নিয়ে অনেক নেতাই প্রশ্ন তুলেছে বলে দাবি জহর সরকারের৷ তিনি বলেন, 'আমাকে অবশ্য ওরা খুব একটা ডাকে না৷
পার্টির রাজনীতিত খুব বেশি থাকিও না৷ আত্মসম্মান না থাকলে ছেড়ে দেব৷'
যদিও জহর সরকারের এই সমস্ত মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ তাঁর জবাব, 'জহর সরকারের মন্তব্য নিয়ে আমি কিছু বলব না৷ শীর্ষ নেতৃত্ব সবকিছু িনয়েই পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন চালাচ্ছেন৷ সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে৷'