তৃণমূল বিধায়কের লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর লটারি জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই একাধিক ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা৷
আরও পড়ুন: নিখোঁজ সাংসদ- বিধায়ক, দু' দিনে পড়ল দুই পোস্টার! ছট পুজোর আগে সরগরম আসানসোল
তাঁর অভিযোগ, ডিয়ার লটারির আড়ালে রাজ্যে চলছে আর্থিক দুর্নীতি। ওই লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হচ্ছে। ট্যুইটারে তাঁর অভিযোগ, 'সহজে টাকা জেতার টোপ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র মানুষকে লটারির নেশা ধরানো হচ্ছে৷ কঠোর পরিশ্রম করে আয় করা অর্থ টিকিট কেটে এভাবেই তাঁরা নষ্ট করছেন আর দুর্নীতি গ্রস্ত তৃণমূল নেতারা তাঁদের পয়সায় লাভবান হচ্ছেন৷'
advertisement
আরও পড়ুন: খেলার মাঠেও বিপদ! নরেন্দ্রপুরে পাঁচ কিশোরকে লক্ষ্য করে বোমা মারল দুষ্কৃতীরা
অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, 'এটি টাকা তছরূপ করার সহজ উপায়৷ সাধারণ মানুষ টিকিট কেনে আর তৃণমূল নেতারা বাম্পার পুরস্কার জেতে৷ প্রথমে অনুব্রত মণ্ডল জ্যাকপট জিতলেন আর এখন বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী এক কোটি জিতলেন৷'
যদিও পালটা শুভেন্দুকে জবাব দিয়েছে তৃণমূল। কুণাল ঘোষ বলেন, 'এই লটারি বোর্ড অনুমোদন করে। যারা নিয়ন্ত্রক, সেখানে অভিযোগ জানানো যায়। তার মধ্যে কোনটা আইনি, কোনটা নয়, সেটা নির্দিষ্ট জায়গায় বিচার হবে। প্রত্যেক সপ্তাহে যখন অন্যরা পুরস্কার পান, তখন তো কিছু বলা হয় না।'
দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, 'লটারিতে কেউ টাকা পেলে সেটা আয়কর দফতর জানতে পারে। নিয়মানুযায়ী টাকা কেটে নেয়। এখানে দুর্নীতির প্রশ্ন আসছে কী করে?'
তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর অবশ্য দাবি, 'লটারির টিকিট যে কেউ কাটতেই পারেন৷ এই সমস্ত অভিযোগ তুলে একজন মহিলাকে অপমান করা হচ্ছে৷' সংবাদপত্রে প্রকাশিত ওই লটারি সংস্থার বিজ্ঞাপনে রুচিকাকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, লটারিতে জেতা টাকা দিয়ে পরিবারের আর্থিক উন্নতি করতে চান বিধায়ক পত্নী৷