নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘ উর্দিধারীরা যেন আইন অনুযায়ী চলেন। যা আইন, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করেন।’’ বরাহনগরের এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “দুষ্কৃতী দুষ্কৃতীই। তৃণমূল হোক বা না হোক। এদের কখনও রেয়াত করা হবে না।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “পুলিশের যে দোষ ত্রুটি নেই তা নয়… কিন্তু দেখুন, দু’জন সিপি চলে গেলেন – অজয় ঠাকুর ও সুপ্রতিম সরকার। আমি এই জন্য পুলিশকে বলছি, ক্লোজ় হবেন আপনারা, ট্রান্সফার হবেন আপনারা। আপনারা আইন অনুযায়ী চলবেন। কারও কথায় চলবেন না। নিয়ম যা রয়েছে, আইন যা রয়েছে… সেই অনুযায়ী চলবেন।”
advertisement
আরও পড়ুন- কলকাতায় শেষবারের মতো আসছেন ‘পদ্মের উমা’! অপেক্ষা করছে বড় চমক, বলছেন উদ্যোক্তারা
পুলিশকে খোলা হাতে কাজ করতে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। বলেন, “পুলিশকে ফ্রি হ্যান্ড দিতে হয়, না দিলে তো এই ধরনের ঘটনাগুলি ঘটে। এই ধরনের বেয়াদপি বরদাস্ত করা হবে না। যে যতই ঘনিষ্ঠ হোক, কাছের হোক, দলের হোক… তাঁকে কে অধিকার দিয়েছে এই ধরনের কাজ করার বা কাজে সমর্থন করার? খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও দুঃখজনক।” অর্থাৎ, বুঝিয়ে দিয়েছেন কোনওভাবেই দুষ্কৃতী বা সমাজবিরোধীদের রেয়াত করা হবে না। আইন অনুযায়ী প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে ৷ কিছু দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাগুইআটির ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সাসপেন্ড করা হয়েছিল স্থানীয় থানার দুই আধিকারিককে। সম্প্রতি বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারও বদল করা হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ তাদের কাজ করা নিয়ে নানা ধরণের বক্তব্য উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় সমাজ বিরোধীদের প্রসঙ্গে যে কথা বলেছেন, সেই কথা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথাতেও একাধিকবার উঠে এসেছে। দলের তরফে বার বার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে দুষ্কৃতীদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না।