এখানেই শেষ নয়, মদনের সংযোজন, ''বয়সের ভার হয়ে যাচ্ছে। ৮০ কেজি ওজন। আর নয়। আমার খেলা দেখে নতুন প্রজন্ম শিখবে।'' জনপ্রিয় গানের লাইন যুক্ত করে মদন বলেন, ''যেটা ছিল না, ছিল না, সেটা না পাওয়াই থাক। সব পেলে নষ্ট জীবন।'' মদন মিত্রের এই মন্তব্যের পরই তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।
আরও পড়ুন: 'সিবিআই তদন্তে খুশি নই', কোন ঘটনায়? ফের বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
advertisement
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ও এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, রাজনীতিতে সব দলেরই উচিত বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া। তার বক্তব্য একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর রাজনীতি ছেড়ে নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়া উচিত। তার এই মন্তব্যের পরেই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মদন মিত্র।
আরও পড়ুন: গরম থেকে রেহাই দিতে এবার বৃষ্টি জেলায় জেলায়, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া! এবার ভাসবে পুজোও!
যদিও অনেকেই মনে করছেন কোথাও একটা অভিমান তৈরি হয়েছে তাপস রায়ের। তবে, তাপস রায় সেই কথা মানতে রাজি নন ৷ তিনি ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘আমি যেটা বলছি, দুটি কথাই আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমি সেটা পালন করব। আমি রাজনীতিতে আপার এজ লিমিট থাকা উচিত বলে মনে করি। আমি সেটা পালন করব। কারণ আমরা নব প্রজন্মকে স্বাগত জানাব আর নিজেরা জায়গা ধরে রাখব এটা হয় না। তাহলে নিউ জেনারেশন সামনে আসবে কি করে? এটা আমার অনুভূতির কথা।’’
তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমি রাজনীতি ছাড়ব ঠিক সময়। আমি বারবার বলেছি গাওস্কর হওয়া উচিত। সাধারণ আলাপচারিতায় গাভাস্করের উদাহরণ দিয়েছি। ব্যাটে রান থাকতে থাকতে ক্রিজ ছেড়ে দেওয়া উচিত। না হলে সিলেক্টরদের কোপে পড়তে হতে পারে। বয়স একটা ফ্যাক্টর, শরীর একটা ফ্যাক্টর। শরীর সাথ না দিলে কি উচিৎ পড়ে থাকা ? সব দলের উচিৎ বয়স সীমা বেঁধে দেওয়া। নিজেরও উচিৎ রেহাই দেওয়া। আমাদেরও উচিৎ দল বলার আগেই রেহাই দেওয়া। আমি কারও নাম করে বলছি না। আমি সাধারণ কথা বলছি। ব্যতিক্রম থাকতে পারে। নিজের মান সম্মানের কথা বলেও এটা করা উচিত। এতে দলের ভাল হয়।’’