আগে কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন বড়ঞাঁর বিধায়ক। সেখানে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক। অবশেষে মিলল মুক্তি। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুনানি হয় জীবনকৃষ্ণের। সেখানেই মঙ্গলবার বিচারপতিরা জানান, জীবনকৃষ্ণ সাহার এই মুহূর্তে ট্রায়ালের কোনও সম্ভবনা নেই। তাই অনন্ত কাল ধরে তদন্তের নামে কাউকে আটকে রাখা যায় না। তাই জামিন পেলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এলে আদিবাসীদের জঙ্গলের অধিকার চলে যাবে, পুরুলিয়ায় বললেন অভিষেক
গত বছর ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সিবিআই যখন তল্লাশি করছিল তখন নিজের দু’টি মোবাইল ফোন বাড়ির পিছনে পুকুরের জলে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ, এমনই অভিযোগ ওঠে। তার পরে পুকুরের জল ছেঁচে ফেলতে হয় সিবিআইকে, সেই নিয়ে একপ্রস্ত নাটক চলে।
প্রসঙ্গত, সোমবার বহরমপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল লোকসভার ভোটগ্রহণ। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জীবনকৃষ্ণের বিধানসভা কেন্দ্র বড়ঞা। নিজের কোন্দ্রে ভোটের পরের দিনই জেল থেকে মুক্তি পেলেন জীবনকৃষ্ণ। তবে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পেলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন বুধবার বা বৃহস্পতিবার।