রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস দ্বারা প্রকাশিত ২০২২ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুসারে, রিপোর্টের জন্য ম্যাপ করা ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারত ১৫০তম স্থানে রয়েছে – গত বছরের ১৪২ থেকে আট পর্যায় কমে গিয়েছে। ২০২১ সালে, RSF ভারতকে পাঁচটি সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশের একটি হিসাবে চিহ্নিত করেছে সাংবাদিকদের প্রেক্ষিতে।
প্যারিস-ভিত্তিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপটি সঙ্কটের জন্য মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে দোষারোপ করতে একবিন্দুও পিছপা হননি।
advertisement
বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বুধবার বলেছেন, ''প্রেসের স্বাধীনতা সূচকের পতন উদ্বেগজনক।'' তিনি টুইটে লিখেছেন, “খুবই বিরক্তিকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একাই আমাদের দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন!''
আরও পড়ুন: রয়ে গেল সাত বছরের কন্যা, মৃত্যুতেও কত প্রাণ বাঁচিয়ে গেলেন চিকিৎসক সংযুক্তা রায়!
মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবও, তিনি বলেছেন যে আক্রমণগুলি দ্রুত বন্ধ করতে হবে৷ তিনি টুইট করে বলেছেন, “গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে টার্গেট করা বন্ধ করুন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! এটা সত্যিই আন্তর্জাতিক লজ্জার বিষয় যে ভারত এখন বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম সূচকে ১৫০তম স্থানে নেমে গিয়েছে। বিজেপির দুঃশাসনের অধীনে আরও অন্ধকার দিন আসছে।”
আরও পড়ুন: সুকান্তকে পাশে বসিয়েই দলের জন্য 'অভিভাবক' চাইলেন দিলীপ! তুমুল শোরগোল বিজেপিতে
আরএসএফ রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কীভাবে মোদি সরকারের সমালোচনাকারী সাংবাদিকদের নিয়মিতভাবে আক্রমণ করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, "খুব প্রথম দিকে, মোদি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একটি সমালোচনামূলক অবস্থান নিয়েছিলেন, তাদের "মধ্যস্থতাকারী" হিসাবে দেখেছিলেন যে, তিনি নিজের এবং তার সমর্থকদের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ককে দূষিত করছেন৷ ভারতীয় সাংবাদিকরা যারা সরকারের খুব সমালোচক তাঁরা মোদি ভক্তদের দ্বারা সর্বাত্মক হয়রানি এবং আক্রমণ প্রচারণার শিকার হয় যারা ভক্ত নামে পরিচিত।”
তৃণমূলের কটাক্ষ, কীভাবে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার নিয়মিতভাবে সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। বুধবার তারা টুইট করে জানিয়েছে, "নিউ ইন্ডিয়ার সর্বনতুন সংযোজন: ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুসারে, ভারতের র্যাঙ্কিং ৮ পর্যায় নিচে নেমে গেছে:
২০২১ : র্যাঙ্কিং ১৪২
২০২২ : র্যাঙ্কিং ১৫০