প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধেই সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ বেসরকারি বিএড কলেজের মালিক তাপস মণ্ডল। তাপসের দাবি ছিল, টেট পাস করিয়ে দেওয়া এবং চাকরি দেওয়ার মতো প্রতিশ্রুতি দিয়েই ছাত্রছাত্রী পিছু টাকা নিতেন কুন্তল। তাপস মণ্ডলের দাবি ছিল, কুন্তলকে তিনি নিজেই সাড়ে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে অঙ্কটা একশো কোটি ছাড়াতে পারে বলেও দাবি করেন তাপস।
advertisement
জিজ্ঞাসাবাদের সময় কুন্তল বহু প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি বলে ইডি সূত্রে খবর। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কুন্তলকে গ্রেফতার করে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে নিয়ে যাওয়া হবে। আজই তাঁকে আদালতে পেশ করবে ইডি।
আরও পড়ুন: এবার কি তৃণমূলে 'ঘর ওয়াপসি'? বিজেপি বিধায়ক হিরণের ভাইরাল ছবি ঘিরে জোর শোরগোল!
এর পরেই কুন্তলকে তলব করেছিল সিবিআই। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে দু' বার হাজিরাও দিয়ে এসেছিলেন তৃণমূলের এই যুব নেতা। তাঁকে এবং তাপস মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় কুন্তলকে।
এর পরেই গতকাল সকাল থেকে চিনার পার্কে কুন্তলের দুই ফ্ল্য়াটে তল্লাশি শুরু হয়। শুক্রবার প্রায় সারাদিন ধরেই তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। কুন্তল ঘোষ ছাড়াও হুগলির বলাগড়ের আর এক তৃণমূল নেতা এবং জেলা পরিষদের সদস্য় শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাড়িতেও তল্লাশি শুরু করে ইডি।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড ঘুষ-কাণ্ডে নয়া মোড়, এবার খোদ অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে তদন্তে সিবিআই
যদিও প্রায় ১২ ঘণ্টা তল্লাশির পর শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ইডি কর্তারা। কিন্তু কুন্তলের ফ্ল্য়াটে তল্লাশি জারি থাকে। কুন্তল ছাড়াও তাঁর পরিবারের সদস্য়দেরও আলাদা আলাদা করে জেরা করা হয়। কুন্তল অবশ্য় দাবি করেছিলেন, তিনি একশো টাকা নিয়ে থাকলেও সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করত।
ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলের দুই ফ্ল্য়াট থেকে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছউ গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। কুন্তলের বিপুল সম্পত্তির তালিকাও এসেছে ইডি-র হাতে। তার আয়ের উৎস কী, কুন্তল তার সদুত্তর দিতে পারেননি বলেও ইডি সূত্রে খবর। কুন্তলের আয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পত্তির হিসেবের অসঙ্গতি রয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর। এর পরেই কুন্তলকে আটক করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তৃণমূলের এই যুব নেতাকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।