মামলার বাকি অংশের বিচার চলবে বলে জানিয়েছে আদালত। আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশে এই মামলা আবার হাওড়া জেলা মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে চলে যাচ্ছে। কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন, "কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত যা যা অভিযোগ রাজ্য পুলিশের সিট এনেছিল, আদালত তা খারিজ করেছেন। মামলার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিচার চলবে। আপাতত মামলা হাওড়া কোর্টে ফিরে যাচ্ছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: ঝড় তুলেছে সিবিআই, সাত জায়গায় পরপর হানা! তালিকায় বিধায়ক, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা
প্রসঙ্গত, সারদা কেলেঙ্কারির প্রথম গ্রেফতারের মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁকে গ্রেফতার করা ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছিল আদালত। বিধাননগরে সাংসদ ও বিধায়কদের বিশেষ আদালতের বিচারপতি মনজ্যোতি ভট্টাচার্যই এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালত জানিয়েছিল, যে কারণ দেখিয়ে কুণালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তা ঠিক নয়। এই রায়ের পরে খুশি কুণাল প্রচলিত বাংলা প্রবাদ আউড়ে বলেন, ‘‘খুবই ভাল লাগছে। দু’জনকে ধন্যবাদ দেব। আমার আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী এবং হরিকে। রাখে হরি মারে কে!’’
আরও পড়ুন: এখন ভোট হলে কটা সিট পাবে বিজেপি, ফিরহাদের মন্তব্যে তুমুল শোরগোল
২০১৩ সালের এপ্রিলে সারদা কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসে। ২৩ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার হন সারদা সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। তখন তৃণমূলের সাংসদ থাকা কুণাল সারদা পরিচালিত সংস্থায় চাকরি করতেন। ওই বছরেরই ২৩ নভেম্বর বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা তাঁকে গ্রেফতার করে। সেটিই ছিল কুণালকে প্রথম গ্রেফতার। এর পরে পুলিশি হেফাজতে থাকা কুণালকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।