ওই নোটিস পাঠিয়েছেন অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। নওশাদ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ অভিষেক সংসদে ছিলেন? আমি তো অনেকক্ষণ ভিডিয়ো দেখছিলাম। আমি তো এটা খুঁজছি যে, সংসদে তৃণমূলের ক’জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন এবং ক’জন উপস্থিত ছিলেন না। আমিও দেখছি, তাঁদের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার পরে কী ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণকে নিয়ে করতে হয় সেটা আমি দেখাব।’
advertisement
এই বিষয়ে সাংসদ-আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, “নওশাদ কি পাগল হয়ে গেছে। নওশাদ ফালতু কথা বলছে। অভিষেক সেদিন রাত তিনটে অবধি ছিল। আমার পাশে বসেছিল অভিষেক।” আইনজীবী জানিয়েছেন, নোটিস পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নওশাদ তাঁর বিবৃতি প্রত্যাহার না করলে এবং ওই বিবৃতির ব্যাখ্যা না দিলে অভিষেক কড়া আইনি পদক্ষেপ করবেন।
প্রসঙ্গত ওয়াকফ নিয়ে লোকসভায় আলোচনার দিনে হুইপ জারি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দল। গত ৩ তারিখ সংসদে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এমনকি তৃণমূলের বিভিন্ন সাংসদরা যে ছবি পোস্ট করেছেন সেখানেও দেখা যাচ্ছে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় মধ্যরাতের পরে বেরোচ্ছেন সংসদ থেকে।
আবার লোকসভা টিভিতেও ভোটাভুটির সময়ের যে ছবি দেখা যাচ্ছে সেখানেও দেখা যাচ্ছে দলীয় সাংসদদের সাথে বসে আছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এই অবস্থায় আই এস এফ বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে যায়।