শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় আইএনটিটিইউসির শ্রমিক সমাবেশে বিচারপতিদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারই শিলিগুড়িতে পাল্টা সুর চড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, সাংসদ তাঁর সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন। এদিকে রাজ্যপালের এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে তরজা শুরু হয়েছে। নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই ট্যুইটে সেই তোপের জবাব দিয়েছেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন,"মানুষ দেখছে কে সীমা লঙ্ঘন করছে। আমি সত্যের শক্তিতে বিশ্বাসী। কলকাতা হাইকোর্টের একাংশ কেন্দ্রের সঙ্গে যোগসাজেশ করে কয়েকজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: ডায়েরির শেষ পাতায় মৃত্যুর ঠিক আগেই মায়ের জন্য শেষ 'বার্তা'... কী লিখলেন কসবার সরস্বতী?
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই তরজার কেন্দ্রে রয়েছে 'কাজের এক্তিয়ার' বা 'সীমারেখা' প্রসঙ্গ। বক্তব্য পেশ কিংবা প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে কার সীমা কতটা, এবার তা নিয়ে পরোক্ষে বাকযুদ্ধে জড়ালেন রাজ্যপাল ও তৃণমূল সাংসদ। আর এই আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়ালেন বিধায়ক তাপস রায়। তবে শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গই নয়, এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকার নিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে আর থাকছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানে আচার্য হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিজিটর পদে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দায়িত্বভার নিয়েও কার্যত সরব হন রাজ্যপাল। তিনি শুধু বলেন,আমার কাছে এ ব্যাপারে এখনও কোনও নথি আসেনি। সরকারের তরফে আগে সেই নথি আসুক তারপর বিস্তারিত বলতে পারবো।রাজ্যপাল তাঁর ট্যুইটে বা সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিভিন্ন সময় যা বলছেন তা দেখে মনে হচ্ছে তিনি বিশেষ রাজনৈতিক নেতাদের মত কথা বলছেন। যা বাংলার মানুষের কাছে উদ্বেগের বলছে শাসকদল।