দুর্গাপুর ও হলদিয়া নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে দেয় সাংগঠনিক চেহারা, খোদ শ্রমিক সংগঠন রাজ্য সভাপতিকে দুই শিল্পাঞ্চলের কোর কমিটির মাথায় বসিয়ে দেন। অনেক ক্ষেত্রেই প্রবণতা দেখা যায় শিল্পাঞ্চলে নেতারা নিজেদের লোক ঢোকাতে চেষ্টা করেন। যা মালিকপক্ষের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এর পাশাপাশি শিল্পের পরিবেশের ক্ষতি হয়। এই অবস্থা থেকেই বেরিয়ে আসতে চাইছে শাসকদল।
advertisement
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে শিল্পাঞ্চলের একটা আসনেও জয় লাভ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর থেকে দক্ষিণ সবকটা আসনেই পরাজয় হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হলদিয়া, দুর্গাপুর পশ্চিম, আসানসোল দক্ষিণ, কুলটি, রঘুনাথপুর, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভায় হেরে যায় তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: এসএসসির লিখিত পরীক্ষার স্বচ্ছতায় বিশেষ ভাবনা, বিশেষজ্ঞ দিয়ে মডেল উত্তরপত্র যাচাই করে তবেই ফলপ্রকাশ
একমাত্র শিল্পাঞ্চলের আংশিক অংশে থাকা দুর্গাপুর পূর্ব থেকে জেতেন প্রদীপ মজুমদার। ফলে শিল্পাঞ্চলের বিধানসভার হারের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে নজর আছে শাসক দলের। ইতিমধ্যেই একাধিক সিনার্জি লেভেলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন, শিল্পের কাজে কোনও ধরনের নাক গলানো চলবে না। শিল্প সংস্থাগুলো নিজেদের স্বাধীনতায় কাজ করবে। সেখানে কোনও নেতা নিয়োগের জন্য চাপ তৈরি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আই এন টি টি ইউ সি সভাপতি ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই দুই শিল্পতালুক হলদিয়া ও দুর্গাপুরে কোর কমিটি গড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আই এন টি টি ইউ সি রাজ্য সভাপতিকে মাথায় রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই সব জায়গা থেকে নানা অভিযোগ এসেছিল। ঋতব্রত জানিয়েছেন, কেউ যদি সুপারিশ করতে যায় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।
আবীর ঘোষাল