শুধু সিনিয়র নেতা-মন্ত্রীদেরই নয়, যুব, মহিলা নেতৃত্বকেও পার্টি অফিসে আসা অভ্যেস করতে হবে। নিয়ম হয়েছে এমনই। এমনকী সাংস্কৃতিক ছাত্র নেতৃত্বকেও নিয়মিত পার্টি অফিসে এসে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব নিতে হবে। পার্টি অফিসেই কাজ ভাগ করা হবে। দলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে হবে প্রতিটি স্তরের নেতৃত্বকে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর বলছেন, পার্টি অফিস একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। পার্টি অফিসে যাওয়ার অভ্যেস থাকাটা জরুরি। একজন সক্রিয় নেতা বা মন্ত্রীর নিয়মিত পার্টি অফিসে থাকা দলের জন্যও ভাল। এমনিতেই নির্বাচনের পর তৃণমূলের সাংগঠনিক মিটিং ও কর্মকাণ্ড আগের থেকে বেড়েছে। আগামিদিনে দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়াতে চাইছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
advertisement
বিধানসভা নির্বাচনের পরই এক নেতা, এক পদ থিওরি মেনে চলবে বলে ঠিক করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মন্ত্রীদের দলের কোনও পদের দায়িত্ব সামলাতে হবে না। তৃণমূলের হাই-কমান্ড মনে করছে, এই থিওরিতে চললে সাংগঠনিক কাঠামো আগের থেকে বেশি মজবুত হবে। ২০১৯ নির্বাচনের পর তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছিলেন, তিনি দলের স্বার্থে আরও বেশি সময় দেবেন। কথামতো কাজও করেছেন তিনি। অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোর ২০১৯ সালেই স্থানীয় নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাঁরা যেন পার্টি অফিসের গিয়ে দলের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আরও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকেন। এবার সেটাই করতে হবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।