এদিন অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নামটি আমাদের দেওয়া নয়। আমাদের আইটি টিমের দেওয়া। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। দুয়ারে সরকারের যে আইডিয়াটার অপর একটা রূপ। অনেক সময়ে অভিযোগটা দলেরও আসে। কোন পঞ্চায়েত কেমন কাজ করেছে, সেটা নিয়েও আসে। সরকার যেমন কাজ সরকার করবে।"
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "১১ বছর হয়ে গিয়েছে এই সরকারের। তৃণমূলও তেমনি ২৫ বছর সম্পূর্ণ করেছে। অনেক কর্মী-সমর্থককে আমরা হারিয়েছি। সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেক দিন কেটে গিয়েছে। রাস্তার পর রাস্তা হেঁটে, পথ চলে এগোতে হয়েছে। ৯৩ সালে গুলি চালানোর ঘটনা। রাজারহাট-শান্তিপুর-কোচবিহারে গুলি চলেছিল। শুধু গুলির ফোয়ারা। যাঁর কাজ নেই বড় বড় কথা বলে বেরান। তাঁদের আমি বলব, একটা রাজনৈতিক দল যখন তৈরি হয় তখন অনেক দায়বদ্ধতা থাকে।"
advertisement
কর্মিসভায় ভাষণ দেওয়ার পরে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেই উত্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর মা মারা গেছেন। এখন শোকসপ্তাহ চলছে। এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করব না। শেষ বৈঠকে আমি এই বিষয়ে কথা তুলেছিলাম।"
আরও পড়ুন, বছরের শুরুতেই আজ মেগা বৈঠক তৃণমূল কংগ্রেসের, সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলবেন
আরও পড়ুন, ২৫-এর জন্মদিনে তৃণমূল পেল 'নতুন বাড়ি', ক'তলা হচ্ছে ভবন? কী কী ব্যবস্থা থাকছে? জেনে নিন এবার
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রত্যেকের নিজস্ব কাজ আছে। গ্রামের টাকা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে যেত। এখন সরাসরি চলে যেত। এখন কন্ট্রোলের জন্য নজর রাখতে হয়। কৈফয়ত তো পঞ্চায়েতকে দিতে হয় না। রাজ্য সরকারকে দিতে হয়। যদি একটা পোকা ধানে থাকে, সেটা সমূলে বিনাশ না করলে, তাহলে সব ধান নষ্ট হবে। এমন কিছু হলে প্রথমে তাকে টাইম দিতে হবে। অ্যালার্ট করে দিতে হবে। আমিও দলের ঊর্ধ্বে নই, মানুষের ঊর্ধ্বে নই। মানুষের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেনে চলি।"