কয়েকদিন আগেই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল৷ এ দিন বিকেলে ফের রাজ ভবনে যান ব্রাত্য বসু, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কুণাল ঘোষ, তাপস রায়, সাজদা আহমেদ, শশী পাঁজা, মালা রায় এবং নয়না বন্দ্যোপাধ্যাযরা৷ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন: ১২৯৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে! 'বাংলার মেধার' গর্বে উচ্ছ্বসিত মমতা!
advertisement
বৈঠক থেকে বেরিয়ে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, 'রাজ্যপাল পদের প্রতি তৃণমূল যে আস্থা রাখে, সেটা বোঝাতেই আমরা এখানে এসেছি৷ রাজ্যপালকে প্রমাণ করতে হবে যে উনি বিজেপি-র মুখপাত্র নন৷ উনি সবার রাজ্যপাল৷ দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে রাজ্যপালের কী মতামত, তা জনসমক্ষে আসা উচিত৷ দিলীপ ঘোষ বিগত দিনেও মা দূর্গা নিয়ে বলেছেন। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে দিলীপ ঘোষকে।রাজ্যপাল হিসেবে উনি নিজের মতামত জানাতে পারেন। আমরা কথা বলেছি।'
আরও পড়ুন: "৩০ হাজার চাকরি রেডি..." সুখবর দিলেন মমতা! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে 'ব্লক' করার বিস্ফোরক অভিযোগ
অতীতে বার বারই রাজ্যপালকে বিজেপি-র মুখপাত্র বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল৷ এ দিনও কুণাল ঘোষ বলেন, 'আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই রাজ্যপাল বিজেপির-ও না, তৃণমূলেরও না৷ আমরা একাধিক বিষয়েও কথা বলেছি আজকে। দেখি রাজ্যপাল কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। উনি তো বিজেপির পৃষ্ঠপোষক৷ আমরা রাজ্যপাল পদের কাছে এসেছি৷'
তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্যুইট করেন রাজ্যপালও৷ সেই ট্যুইটে আবার রাজ্যপাল দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা অবমাননকর মন্তব্যের বিষয়টি তিনি বিবেচনা করে দেখবেন৷ আবার ওই পোস্টেই রাজ্যপাল জানিয়েছেন, পাল্টা তৃণমূল নেতাদের কাছেই তিনি রাজ্যে সাংবিধানিক সীমালঙ্ঘন, মানবাধিকার হরণ এবং জনস্বার্থে সমন্বয় রেখে কাজ করার মতো বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷