এ দিন তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পাশাপাশি বরানগরের বিধায়কের পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তাপস রায়৷ তার পরই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তাপস রায় অভিযোগ করেন, গত ১২ জানুয়ারি ইডি তাঁর বাড়িতে হানা দেওয়ার পরেও দলীয় নেতৃত্ব অথবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এবং তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াননি৷ এমন কি, তাপসের গুরুতর অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে ইডি হানার পিছনেও রয়েছে দলেরই একাংশ৷
advertisement
আরও পড়ুন: তাঁকে বোঝাতে গেলেন কুণাল, তখনই এল শো কজ নোটিস! তাপস বললেন, ‘এটাই তো দল’
যদিও তাপস রায়ের এই বক্তব্য মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ দলের পক্ষ থেকে প্রথমে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, তাপস রায়ের বাড়়িতে ইডি হানার পর তাঁর ফোন ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল৷ দিন দুয়েক পরে ফোন দুটি চালু হলে দলের পক্ষ থেকে তাপস রায়ের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়৷ কিন্তু তখনই তাপসের কথায় দলীয় নেতৃত্ব বুঝে গিয়েছিল যে কোনও রকম চাপে পড়েই তিনি তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন৷
এর পর দলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, উনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন৷ এখন হঠাৎ একটি মতাদর্শ ছেড়ে তিনি অন্য মতাদর্শের দিকে পা বাড়াচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ বাড়িতে ইডি হানার পরেই তিনি তাপস রায় এসব বলছেন কেন? এবং যা যা বলছেন সবই মিথ্যে৷ নিশ্চয়ই ভয় পেয়ে অথবা অন্য ভাল প্রস্তাব পেয়েছেন৷ দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত তিনি আগেই নিয়েছিলেন৷ বিধানসভা এলাকায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন, বলেই এসেছিলেন আর আসবেন না৷
তবে তৃণমূলের এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তাপস রায়ও৷ তাঁর পাল্টা দাবি, ‘আমার আরও একটি মোবাইল ছিল, ল্যান্ডলাইন রয়েছে৷ আমি বিধানসভাতেও এর মধ্যে এসেছি, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সরকার, দলের কাজ করেছি৷ ইডি হানার পর আজকে ৫২ দিন, তার মধ্যে কেউ আমার সঙ্গে কথা বলেননি৷ ফলে যাঁরা এ সব বলছেন, মনে হয় ঠিক বলছেন না৷’