স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্যক্তিদেরই দায়িত্বে আনা হয়েছে, সূত্রের খবর এমনই। যদিও রাজনৈতিক মহলের অভিমত, ব্লক সভাপতি হওয়া নিয়ে তৃণমূলে ব্যাপক গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। জেলা সভাপতি থেকে স্থানীয় বিধায়ক কিংবা জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান ব্লক সভাপতি করার ক্ষেত্রে নিজেদের ঘনিষ্ঠদের প্রাধান্য দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে এদিক-ওদিক হলে ব্যাপক কোন্দল হওয়ার সম্ভবনা ছিল জেলায়। আর সে কারণেই ব্লক সভাপতি ঘোষণার ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগিয়েছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন: সিবিআই নজরে মুর্শিদাবাদের একের পর এক থানা, অনুব্রত কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের ২২টি সাংগঠনিক ব্লক রয়েছে। ২০২০ সালে জেলায় পার্থপ্রতিম রায় তৃণমূল সভাপতি থাকাকালীন ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছিলেন। তারপর গত দু’বছরে একাধিকবার জেলায় সভাপতি বদল হয়েছে এবং ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নতুন করে ব্লক সভাপতি ঘোষণা করা হবে। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হলেও, কোচবিহারে তা করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টাতেই ভোলবদল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, গরম থেকে নরমের কারণ কী? তুমুল জল্পনা
সূত্রের খবর, জেলার নেতাদের নিয়ে গত ৮ অগাস্ট তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠক করেছিলেন। সেখানে জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় বিধায়করা ব্লক সভাপতিদের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। অন্যদিকে দল নিজের মতো করে সমীক্ষা চালিয়েছিল। আর সেখানেই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষদের তুলে আনা হয়েছে ব্লকের দায়িত্বে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। তার আগে ব্লক সভাপতি ঘোষণা নিয়ে এদিক-ওদিক হলে গোষ্ঠীকোন্দল চরম আকার নিতে পারে। তাই বুঝে শুনে ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।একই সাথে দায়িত্ব প্রাপ্তদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এখন থেকেই ঘরে ঘরে গিয়ে জনসংযোগ শুরু করে দেন। দিনহাটা উপনির্বাচনের ফল তৃণমূলের ভালো হয়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ব্লক পিছু জনসংযোগে জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।