প্রায় ৫ বছর পরে তৃণমূলের ব্রিগেড৷ ২০১৯ সালের পর ২০২৪ সাল। পাঁচ বছর পরে আবার ব্রিগেডে সমাবেশ করছে তৃণমূল। সামনেই লোকসভা ভোট৷ তার আগে তৃণমূলের বিরাট সমাবেশ৷ এই সমাবেশ থেকেই দেশের ৪৮ আসনে লোকসভা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে চলেছে তৃণমূল৷
এদিন অভিষেক বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ ২ সপ্তাহের কম সময়ে ব্রিগেড করলাম আমরা৷ ১২ দিনের মধ্যে ব্রিগেড করে দেখিয়েছি৷ দুই সপ্তাহের কম ব্যবধানে এই সভা হচ্ছে। সাধারণত ছয় মাস সময় লাগে। আমাদের ১২ দিন সময় লেগেছে। ছুটির দিনেও এসে বিসর্জনের বাজনা বাজানো হয়েছে। কেউ বলছিল একে একে ছেড়ে যাচ্ছে। দল থাকবে না। এদের কাছে বিচার ব্যবস্থা। ইডি, সিবিআই আছে। আমাদের কাছে মানুষ আসে। আগামীর রায় অত্যাচারীরা বিদায়। বহিরাগতরা বিদায়৷’’
advertisement
আরও পড়ুন: ইস্তেহারের আগেই ‘ইস্তেহার’! জনগর্জন সভায় কেন্দ্রের বঞ্চনাকেই ‘অস্ত্র’ করতে চলেছে তৃণমূল
এদিনও অভিষেকের বক্তব্যর ছত্রে ছত্রে শোনা গেল কেন্দ্রীয় সরকারের তুমুল সমালোচনা৷ বাংলাকে বঞ্চনার চিরকালীন অভিযোগ৷ বললেন, ‘‘এটা তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ নয়। কেন্দ্রর দেওয়ার কথা ছিল অর্থ। তারা দেয়নি। মানুষের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কথা দিয়ে কথা রেখেছি। আমরা পঞ্চায়েতে বলেছিলাম অধিকার সামনে রেখে ভোট দিন। সেটা আমরা করে দেখিয়েছি৷’’ তুললেন নতুন শ্লোগান৷ ‘জনগর্জন আসলে বিরোধীদের বিসর্জন’৷
অভিষেকের কথায়, ‘‘অনুরোধ করব যেভাবে আপনারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন আশা করি আপনারা আগামী দিনেও থাকবেন। বিজেপি-কে বলছি আমরা বাংলা বিরোধী। আজ আমরা যে কর্মসূচি শুরু করছি তা হল বাংলার জন গর্জন। বাংলার বিরোধীদের বিসর্জন।’’
আরও পড়ুন: প্রথা ভাঙছে আজ, ব্রিগেড থেকেই ৪৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবেন মমতা! কারা পাচ্ছেন টিকিট?
এরপরেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন অভিষেক৷ তৃণমূল সাংসদের কথায়, ‘‘কার গ্যারান্টি বাংলা চায় দিদি না মোদি? জোর গলায় সেটা বলতে হবে দিদি। বাংলার ভূমিপুত্রকে চাই। যারা আমাদের মুখের ভাষা বুঝল না তারা আবার মনের ভাষা বুঝবে। যে বাংলায় কথা বলতে পারেন না তার থেকে গ্যারান্টি কি নেবেন? বিজেপি বাংলা কে যারা গালাগালি করে তাদের মধ্য থেকে কাউকে বিধায়ক থেকে সংসদ হিসাবে মনোনীত করেছে। ভোট ইডি, সিবিআই দেবে না। মানুষ ভোট দেবে। চোর চুরি করে আগে জেলে যেত। এখন চোর চুরি করে বিজেপিতে যায়। এটা মোদির গ্যারান্টি। কার পক্ষে থাকবেন, যে ভাষণ দেয়, না যে রেশন দেয়৷’’
এখানেই শেষ নয়৷ সম্প্রতি বারাসতের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, বাংলার আবাস যোজনায় কেন্দ্রের তরফে বিগত কয়েক বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র৷ এদিন মোদির সেই বক্তব্যকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক৷
তাঁর দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রী তিনদিন আগে সভা করতে এসে উনি বলে গেছেন গত তিন বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকা আবাসের জন্য বাংলাকে পাঠানো হয়েছে। যদি নরেন্দ্র মোদির সরকার প্রমাণ করতে পারেন যে গত তিন বছরে এই খাতে একটা টাকাও দিয়েছে তাহলে আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেব। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব এর পর যখন বাংলায় আসবেন তখন একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় গত তিন বছরে কত টাকা দিয়েছেন, তার একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করবেন।’’